স্বপ্নাহত চিল ... মেঘের ভাজে খুঁজে বেড়ায়... তোমার আমার মিল... ভাষা ও ধর্ম- দুইটি বিষয়ই আসলে সংস্কৃতির বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু দুইটার ভিতর বেশ কিছু মাত্রাগত নিশ্চিত পার্থক্য বিদ্যমান। ভাষাকে আসলে সংস্কৃতির বিভিন্ন ভিত্তিমূলের অন্যতম বলা যায়, অপরদিকে মূলগত বিবেচনায় 'ধৃ' ধাতু থেকে সৃষ্ট 'ধর্ম' শব্দটির দ্বারা মানুষের জীবন ব্যবস্থার একপ্রকার অন্তর্গত অনুভূতি ও তার প্রকাশকেই বোঝানো হয়, যা সংস্কৃতির বিভিন্ন ভিত্তিস্থাপনকারী বিষয়গুলোর উপর নির্ভরশীল এবং তার আচরণ অনেক বেশি সামাজিক গতিশীলতার সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কথা, কিন্তু প্রচলিত ভাবে ধর্ম বলতে আমরা যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোটিকে বুঝি সেই ধর্ম আসলে কোনোভাবেই সংস্কৃতির ভিত্তি অথবা গতিশীল উপাদান নয়, বরং দীর্ঘ দিনের চর্চার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা সংস্কৃতির কিছু বিষয়কে যখন কোনো জনগোষ্ঠী তাদের জীবনব্যবস্থায় অপরিবর্তনীয় এবং অবশ্যম্ভাবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলে তখনি তা ঐ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রচলিত চিন্তায় ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত হয়। অর্থাৎ, যেভাবেই দেখি, ভাষা ও ধর্ম- সংস্কৃতির দুইটি উপাদান।
এখন, বুঝতে হবে রাষ্ট্র কি? সোজা কথায়, রাষ্ট্র মানুষের দ্বারা ও মানুষের প্রয়োজনেই সৃষ্ট একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান মাত্র।
প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক বিষয়াবলী এর অন্তর্গত। রাষ্ট্রের একটা সরকার ব্যবস্থা থাকে যেটির দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বিভিন্ন অন্তর্গত সংস্থা ও ব্যবস্থা সৃষ্টি করা হয়, যেমন- এর আমলাতন্ত্র, নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার জন্য রয়েছে এর আইনব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থা ইত্যাদি। অর্থ্যাৎ, রাষ্ট্র সামগ্রিকভাবেই একটি কাঠামোগত সামাজিক প্রতিষ্ঠান যে তার সভ্যদের (যারা জনগণ নামে পরিচিত হয়) কিছু চাহিদা মেটাবার মূল সঞ্চালক হিসেবে কাজ করে থাকে এবং সেটা সে নিজে নিজে করে না, জনগণেরই খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ এই প্রতিষ্ঠানটিকে ও এর কার্যাবলীকে নিয়ন্ত্রণ করে।
এখন, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে আসে, প্রতিষ্ঠানের কোনো ভাষা বা ধর্ম(প্রচলিত কাঠামোকেন্দ্রিকতার অর্থে) থাকতে পারে কিনা? যদি থাকেও, তবে আদপেই তা কতটা যুক্তিসঙ্গত? সত্যি বলতে, আসলেই কোনো প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত মানুষের যদিও নিশ্চিতভাবেই ভাষা ও ধর্ম থাকে স্বাভাবিকভাবেই, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নিজের কোনো ভাষা বা ধর্ম থাকতে পারে না সাধারণভাবে। একটা বিশাল অট্টালিকার ভাষা বা ধর্ম থাকাটা যেমন হাস্যকর বিষয় , ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের।
কিন্তু রাষ্ট্র যখন জনগণের, তার অন্তর্গত মানুষের প্রতিশব্দ ও প্রতিবিম্ব হয়ে উঠে, তখন সেই বিবেচনায় রাষ্ট্রকেন্দ্রিক আগের বিশ্লেষণটি ভিন্নভাবে তৈরি হতে পারে। তখন বিষয়টির বিশ্লেষণ বা চিন্তা রাষ্ট্রের জনগণের প্রয়োজনীয়তা উপরে নির্ভর করে, রাষ্ট্র মানে সেখানে তার জনগণ।
রাষ্ট্রভাষা ও রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে ইদানিং একটা আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আলোচনাটা অনেকক্ষেত্রেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কিন্তু এর কিছুটা যৌক্তিক অবস্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রশ্নটি হলো- রাষ্ট্রের যদি রাষ্ট্রভাষা থাকতে পারে তবে রাষ্ট্রধর্ম থাকলে সমস্যাটা কোথায়? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলে অন্য ধর্মাবলম্বী কিংবা ধর্মহীন নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য করা হয়।
দেশে এমন অনেক জনগোষ্ঠী আছে যাদের মাতৃভাষা বাংলা নয়? তাহলে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিলেও কি একইভাবে তাদের প্রতি বৈষম্য করা হয় না? শুধু সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা লেখা থাকলেই কি দেশ অসাম্প্রদায়িক হয়ে যাবে?
প্রশ্নটা নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলেই কেনো রাষ্ট্রধর্মকে নাকচ করতে চাইলে, রাষ্ট্রভাষাকে কোন যুক্তিতে আমরা গ্রহন করবো? রাষ্ট্রকে একটি প্রতিষ্ঠান অথবা কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করলে, তার যেমন নিজস্ব ধর্ম থাকতে পারেনা, তেমনি তার ভাষা থাকতে পারে কি? যদি পারেই, সেটা কীভাবে। এই বিষয়টি আমাদের কাছে এখন স্পষ্ট হওয়া খুব প্রয়োজন, তা না হলে সাম্প্রদায়িক শক্তি এই প্রশ্নের চাতুরতাতেই জনগণকে খুব সহজেই বিভ্রান্ত করার সুযোগ পেয়ে বসতে পারে! আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের পক্ষে এই প্রশ্নের যৌক্তিকতাকে খারিজ করার কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠার সম্ভাবনাই প্রবল।
রাষ্ট্র একটা আদপেই সামাজিক সংঘ/ প্রতিষ্ঠান; তাই রাষ্ট্র যেমন ধর্ম থাকতে পারে না, তেমনি এর ভাষা থাকারও কথা না; কিন্তু... হ্যা এখানে এমন একটি ব্যাপার থেকে যাচ্ছে যাতে রাষ্ট্রভাষা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ... ভিন্ন মাত্রায়। সেটি হলো রাষ্ট্রকে আমরা শুধুমাত্র একটি কাঠামো হিসেবেই দেখবো; নাকি তার জনগণের, তার অন্তর্গত মানুষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করবো? আসলে দুইটি বিষয়কেই একসাথে বিবেচনা করতে হবে, বিচ্ছিন্নভাবে নয়, তা না হলে কিছু ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই সত্যের অস্বীকার করা হবে।
একটি রাষ্ট্রের ভিতর বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষ থাকতেই পারে, তাদের প্রত্যেকের মাতৃভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হলেও প্রতিটি মানুষের পারষ্পরিক যোগাযোগ এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্য একটা সুনির্দিষ্ট ভাষাকে ব্যবহার করার দরকার হয়ে পড়ে, যেমনটা আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা এখন গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টা পুরোমাত্রাতেই আসলেই আমাদের কর্মপ্রক্রিয়া আর যোগাযোগের বাস্তব প্রয়োজনীয়তার জায়গা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রব্যবস্থায় একটি নির্দিষ্ট ভাষাকে যদি জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও দাপ্তরিক অর্থ্যাৎ অফিসিয়াল কার্যক্রমের স্বার্থে চিহ্নিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অনেক কার্যক্রম স্থগিত ও স্থবির হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা ঠিক, যে এখানে অধিক মানুষের কোনো ভাষাকে যখন রাষ্ট্রভাষা করা হয়, তখন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ভাষার উপর ঐ রাষ্ট্রভাষার আধিপত্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে, কিন্তু জাতীয়তাবাদ কেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় এই আধিপত্যকে সম্পূর্ণভাবে খারিজ করা কোনোভাবেই সম্ভব না, যতখানি সম্ভব কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। আর তাই, রাষ্ট্র আর তার জনগণের সামগ্রিক প্রয়োজনীয়তার স্বার্থেই আমাদের দুইটি বিষয়কে যথাযথ বিবেচনায় রেখেই এগুতে হবে, ১।
রাষ্ট্রব্যবস্থায় তার সকল ভাষাভাষি জনগণ যাতে তাদের পারষ্পরিক যোগাগযোগ ও কার্যক্রমের জন্য একটি ভাষাকে নির্বাচন করতে সক্ষম হয় এবং ২। ঐ ভাষা কর্তৃক অপরারপর ভাষার উপর উগ্র আধিপত্যবাদ কোনোভাবেই যাতে শুরু অথবা প্রতিষ্ঠিত না হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় প্রয়োজনে একাধিক রাষ্ট্রভাষাও থাকতে পারে, যেমন- পাকিস্তান রাষ্ট্রে উর্দু ভাষার অপ্রয়োজনীয় আধিপত্যবাদের প্রতিবাদে ও সামগ্রিক প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে আমরা বাঙ্গালিরা কিন্তু পরবর্তীতে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ফলে রাষ্ট্রের কাঠামোকেন্দ্রিক ধারনায় রাষ্ট্রভাষা বিষয়টি যুক্তিযুক্ত না হলেও রাষ্ট্রের জনগণের প্রয়োজনের নিমিত্তে জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারাতে রাষ্ট্রভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং তা প্রচন্ডভাবেই যুক্তিগ্রাহ্য।
কিন্তু ধর্মের বিষয়টি এরকম না।
রাষ্ট্রের সকল জনগণের পারষ্পরিক যোগাযোগ ও অপরাপর প্রয়োজনীয়তায় একটি ধর্মকে সুনির্দিষ্ট করার আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। প্রতিটি ধর্মীয় জনগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে- এটাই স্বাভাবিক। এখানে যেমন আস্তিক'রা থাবে, একই সাথে নাস্তিক'রাও থাকবে। পরষ্পরের বিশ্বাস ও যুক্তিবোধ-এ ভিন্নতা থাকতেই পারে, সেটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তাতে কেউ কারো প্রতি আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে না, হওয়া উচিৎ না, এতে সামাজিক অস্থিতিশীলতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হয়। ফলে এখানে ধর্ম বিষয়টা কিন্তু রাষ্ট্রের সকল জনগণের কোনো মৌলিক একইরকম স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট না, প্রত্যেকের (ব্যক্তি/ গোষ্ঠী) স্বতঃস্ফূর্ততা আর স্বাধীন চর্চার মধ্যেই সীমিত।
তাই এখানে একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতেই কোনো নির্দিষ্ট ধর্মকে সকলের জন্য সুনির্দিষ্ট করার দরকার নাই। একারণেই রাষ্ট্রের কাঠামীকেন্দ্রিক ধারনার পাশাপাশি রাষ্ট্রের জনগণের প্রয়োজনের ভিত্তিতেও রাষ্ট্রধর্ম বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই অবান্তর ও যুক্তিহীন।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রভাষা ও রাষ্ট্রধর্ম- বিষয় দু’টো মূলত রাষ্ট্র কাঠামোর ভিত্তিতে নির্ধারিত হচ্ছে না, এর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রভাষা বিষয়টি কোনোভাবেই রাষ্ট্রধর্মের মত সাম্প্রদায়িক আধিপত্যবাদী বিষয় হয়ে উঠে না। বলছি না, কখনোই হয়ে উঠতে পারে না, যেমনটা হয়েছিলো পাকিস্তান রাষ্ট্রে উর্দু ভাষা।
কিন্তু যেহেতু এটি রাষ্ট্রের জনগণের স্ব-স্বার্থেই নির্ধারণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তাই রাষ্ট্রের শাসকশ্রেণীর দায়িত্বশীল ভূমিকা আর জনগণের মুক্তচিন্তা আর বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এর সাম্প্রদায়িক আধিপত্যবাদের সম্ভাবনাকে প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। ফলে রাষ্ট্রভাষাকে বজায় রেখেই শুধুমাত্র রাষ্ট্রধর্ম বিষয়টিকে খারিজ করার মধ্য দিয়েই যেকোনো রাষ্ট্র যথেষ্ট পরিমাণে অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।
মূলত, জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রাষ্ট্র। তাই সীমার বন্ধন এর সারা গায়ে জড়িয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আধিপত্য থাকবে, সেটাকে খারিজ করার প্রচেষ্টাও থাকবে।
আর এই সকল ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে একসময় রাষ্ট্রের সীমানা মুছে যাবে মানুষের স্বাধীন স্বকীয় বিকাশের নিশ্চয়তার স্বার্থে, প্রয়োজনীয়তার স্বার্থেই। মানুষ ধীরে ধীরে প্রবেশ করবে আন্তর্জাতিকতাবাদী ব্যবস্থায়, যেখানে আলাদা রাষ্ট্রের প্রয়োজন থাকবে না, ফলে আর রাষ্ট্রভাষা বলে কোনো কিছু’র প্রয়োজন থাকবে না, লুপ্ত হতে থাকবে আধিপত্যবাদী সকল উপাদান। সামাজিক ব্যবস্থায়, জীবন প্রনালীতে যুক্ত হতে থাকবে বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক ধারনা। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের প্রয়োজনে আরেক প্রান্তের মানুষ কথা বলবে, ভাবতে শিখবে। একটি জাতির সংস্কৃত আরেক জাতির সংস্কৃতির উপর কোনোরূপ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে না, বরং এক ধরনের মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিটি সংস্কৃতিই বিকশিত হবে, এভাবেই হয়তো এক অভূতপূর্ব বৈশ্বিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, যা ধারণ করবে পৃথিবীর সকল মানুষকে, সকল মানুষের স্বাধীন বিকাশকে।
কিন্তু সে ব্যবস্থায় যাওয়ার এখনো অনেক দেরি। তার আগে এই জাতীয়তাবাদী ব্যবস্থাতেই এর ভিত্তি তৈরি করা প্রয়োজন, যে কোনো ধরনের আধিপত্যবাদকে যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন, তাহলেই ভবিষ্যত মানুষের জন্য এক আধিপত্যহীন এবং শোষনহীন সমাজব্যবস্থার চারা রোপন করে যেতে পারবো আমরা, আর সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।