ইলেকট্রিক ভোটিং এ একজন ভোটার ভোট দেবার সাথে সাথেই সেটা গননা হয়ে যাবে বলে শুনেছি। এটা হলে এটার মাধ্যমেই অনেক বড় কারচুপি করা সম্ভব। একটি আসনে ভোট গ্রহন শেষ হবার কয়েক ঘন্টা আগেই নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেনে যাবেন, কে পরাজিত হতে যাচ্ছেন, কোন প্রার্থী ও দল যদি জেনে যায় যে, তারা পরাজিত হতে যাচ্ছে, তাহলে তারা বসে থাকবে না। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে ফলাফল উল্টে দিতে পারেন। এটা আরও সহজ হয়, যদি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়।
ইভোটিং সম্পর্কে আরেকটি কথা শুনেছি, কে কাকে ভোট দিল, সেটা আর গোপন থাকবে না, নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানতে পারবেন, কোন লোক কোন দলকে ভোট দিল। সুতরাং ভোটের পরদিনই কালের কন্ঠ আমাদের জানিয়ে দিবে যে, মতিউর রহমান কাকে ভোট দিয়েছেন। সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ীরা যারা নিরপেক্ষতার ভান করেন, তারাও কাকে ভোট দিবেন সেটা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে যাবে। সরকার চাইলে ঐ ব্যক্তিকে নির্বাচনের পরে নাজেহাল করতে পারে, কারন সে বিরোধী দলকে ভোট দিয়েছিল।
ইভোটিং চালু হলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরে পরিণত হবে এটা ঠিক না।
কোন প্রযুক্তি চালু করার আগে এর অপব্যবহার কিভাবে হতে পারে, সেগুলোও চিন্তা করতে হবে। আমরা বাংলাদেশিরা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে থাকি। সেজন্য বাংলাদেশে এখনও পেপাল চালু হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।