আমি শুনতে পাই লক্ষ কোটি ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ...হাহাকার ।
।
হ্যাঁ ভাই, ডাকাতের নাম মধূমতি। তবে এই ডাকাত কোন পুরুষ বা নারী নয়, আপ্নারা অনেকেই চেনেন। এই ডাকাত একটা পাবলিক বাস কোম্পানী।
বাসের নাম “মধূমতী”।
এই কোম্পানী অনেক দিন ধরে মতিঝিল- গুলশান-২ রুটে একচেটিয়া ভাবে বাস চালিয়ে আসছে। এরা এই রুটকে নিজের বাপ-দাদার রুট মনে করে। কেননা ঢাকা শহরের সবকয়টা রুটে একাধিক বাস থাকলেও এই রুটের এই একটি বাস সার্ভিস।
বেশীর ভাগ সময় কয়েকটা বাস একসাথে নষ্ট হয়।
তখন যাত্রীদের কে অনেক্ষন ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বাস এলেও সিট পাওয়া মুশকিল। কারন গুলশান-২ থেকে যখন গুলশান-১ এ বাস আসে তখন দুই তিনটি সিট বাদে সব সিটই ভরা থাকে। বাসই আসেনা।
আগের যুগের ডাকাতরা যেমন যা ইচ্ছা তাই করত, এখনো এরা তাই করছে, শুধু এদের কাছে সরকারী লাইসেন্স।
এদের নামে শোনা যায় এরা নাকি অনেক ক্ষমতাধর !! বি আর টি সি কে টাকা দিয়ে অন্য কোন বাস নামাতে দেয় না। এর উপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা’র মত এক লাফে ভাড়া ১৬ টাকা থেকে ২২ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গতকালকের একটা ঘটনা শেয়ার করছি। বাসে উঠলাম সন্ধ্যা ৭ টার সময়। কাউন্টার থেকে বলা হল এর পরের বাস নাও আসতে পারে, এটাতে উঠে যান।
বাসে উঠার পর মনে হল মুড়ির টিন বাসের সাথে এর কোন পার্থ্যক্য নেই, শুধু বাসটা সাইজে একটু বড়। উঠার পরই আমার আমি পা দিয়ে ফেললাম বাসের ইঞ্জিনের বনেটের উপর। জুতার তলা ভেদ করেও তাপ পায়ে লাগতে লাগলো।
কোন রকমে কষ্ট করে একটু জায়গা করে দাঁড়াতেই আরেক ফ্যাসাদ!! আমার সামনে একজন এবং পিছনে দুজন মহিলা। কোন রকমে টাইট করে বাসের হ্যান্ডেল ধরে পায়ে ব্যালেন্স করে দাঁড়িয়ে আছি।
একটু জোরে ব্রেক করলেই খুব বাজে ভাবে তাঁদের গায়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা, তাহলে বেজ্জতির আর সীমা থাকবেনা। এর মদ্ধ্যে একজন যাত্রী বলতে লাগলো “ভাই- একটু ভেতরে যান তো”।
আমার তখন ভেতরে যাবার কোন উপায় নেই। পুরো বাস ভরতি। এর মদ্ধ্যে বাসের ঝাঁকুনিতে এক মহিলার সাথে ধাক্কা লাগতেই তিনি বলে উঠলেন “ভাই- পিছনে কারা আছে একটু দেখে চলেন”, লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করলেও আমার বলার কিছু ছিলনা।
এটাই নিত্য দিনের অবস্থা। এই অবস্থা মগবাজার পর্যন্ত চলে।
এই হচ্ছে গুলশান-মতিঝিল রুটের বাসের অবস্থা। যোগাযোগ এবং পরিবহন মন্ত্রীদ্বয় কিছুদিন হুমকি ধামকি দিলেন, কিন্তু আজও পর্যন্ত কোন পরিবর্তন হয়নি।
জানিনা এইরকম কতদিন চলবে, সরকার কি এইসব দেখেন না।
বাসের ভাড়া বেড়েছে কিন্তু আমার বেতন তো বাড়েনি।
এই বাড়তি বোঝা কেন বহন করব? কিভাবে বহন করব? সরকার কোন জবাব দিচ্ছে না, কেও কি আছে জবাব দেবার???.....................কেও কি বলতে পারেন??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।