আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের শেষ সীমানায় কিছুক্ষণ

একদিন জন্মের চিৎকারে পৃথিবীতে এসেছিলাম। আবার একদিন কিছু চিৎকারের মাঝ দিয়েই চলে যাব। নদী আমাকে ডাকছে। আমিও ছুটছি। সঙ্গে আরো চার জন।

আমারই কলেজ বন্ধু। নদীর নাম মহানন্দা। দেখতে কেমন হবে? এই প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে দেখা দিল অন্য বিষয়। কাছে গিয়ে উচ্ছ্বলতাটুকু হারিয়ে ফেললাম। সীমান্ত বরাবর তাকালেই একটি বিশাল সুইচ গেট দেখা যায়।

মহানন্দা নদীর সর্বনাশের নাম সেই সুইচ গেট। নদী মরে গেছে। টলমল পানির পরিবর্তে ঘোলাটে জল। একদিন এমনটি দেখতে হবে ভাবিনি। কে জানতো এতটা দূর ছুটে যাওয়ার পর দেখতে হবে আমারই মায়ের মৃত মুখ? কিন্তু তবু আমরা দেখলাম।

ব্যথিত হয়েছি। সেই সঙ্গে আরো একটি বিষয় চিন্তাও করেছি। পঞ্চগড় সীমান্তের ওপারেই হিমালয়। আমি হিমালয় দেখতে দেখতে ভাবছিলাম আমাদের দেশের সীমানায় কেন হলো না হিমালয়? ব্রিটিশদের এই দেশভাগ কতটা যুক্তিসঙ্গত হলো তাও ভাবছিলাম। আমাদের মতো ছোট দেশের নিরাপত্তা ভারতের চেয়েও অনেক বেশি প্রয়োজন।

আমরা সেই নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ট্রানজিট শুরু হয়ে যাবে যে কোন সময়ই। কিন্তু সেই সীমান্তও কি আমাদের জন্য নিরাপদ হবে? বাংলাবান্ধা থেকে তেতুঁলিয়া এবং মহারাজার দীঘি, বেরুবাড়ী ঘুরতে ঘুরতে একথাই মনে হচ্ছিল বার বার। সীমানায় পৌঁছেও সত্যি কথা বলতে আমি কোন সীমানা খুঁজে পাইনি। কেবল কিছু ভয় ছাড়া।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.