আগামীকালকের হরতালকে আমি সমর্থন করি। অনেকদিন পর একটি হরতাল পেলাম যেটিকে সমর্থন করা যায়। আমি আওয়ামীলীগ বা বিএনপি করিনা। কোন রাজনৈতিক দলই করিনা। আওয়ামীলীগ, বিএনপি দু'পৰই ৰমতালোভি দল।
তারা এ পর্যনত্দ যত হরতাল আহ্বান করেছে বেশিরভাগ নিজেদের স্বার্থে। গনমানুষের স্বার্থে তাদের হরতাল খুবই কম। যদিও প্রতিবারই হরতাল আহ্বানের পর দু'পৰই বলে জনগনের স্বার্থে তারা হরতাল আহ্বান করেছে। আর হরতাল শেষে তারা বলে জনগন হরতাল সমর্থন করেছে।
এবারের হরতালের মূল বিষয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের প্রতিবাদ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হোক তা আমি চাই না। প্রতি পাঁচ বছর পরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসুক এটা চাই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চুইংগামের মতো বড় হয়ে দুই বছর হয়ে যাক তা-ও সমর্থন করিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্বাচন করে যাবে। আর বাংলাদেশের চোর-দুবৃত্ত-ঘুষখোর-দূনর্ীতিবাজ রাজনীতিবিদ-আমলা-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে যাবে।
ঘুষ ছাড়া অনেক অফিসে কাজ হবে। রাজনীতিবিদরা আতঙ্কে থাকবে পাঁচ বছর পর অনত্দত তার জবাবদিহি করার সম্ভাবনা থাকে।
বিএনপি এ ইস্যুতে হরতাল ডেকেছে নিজেদের স্বার্থে। কারণ তারা মনে করছে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ইলেকশন কমিশনের আন্ডারে নির্বাচন হলে তাদের জোর করে হাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। একদিন বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরম বিরোধীতা করে বলেছিলেন, 'শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেৰ নয়'।
পরে অবশ্য এ পাগল বা শিশুর আওতায়ই তিনি নির্বাচনে গিয়েছিলেন। আজ বিএনপি 'ফাঁটা বাঁশের চিপায়' পড়ে সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য হরতাল ডেকেছে।
যে কারনেই হোক একটি বড় দল জনগনের পৰের একটি দাবী নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছে। বিষয়টি গনমানুষের পৰে বলে আমি মনে করি। আর তাই আমি হরতাল সমর্থন করি।
# ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।