ইদানিং আমাদের আড্ডার মূল বিষয় বস্তু হলো 'Mr. Shuvo & Sex'. তার আগে একটু বলে নেই, আমরা যারা একসাথে আড্ডা দেই এরা প্রত্যেকেই মুটামুটি ভাল প্রতিস্থত ,ভাল-ভাবেই শিক্ষিত, একই বয়সের। এবং সবাই এলাকার Permanent Residence, (ভবিষ্যত বাড়ীওয়ালা) একটা গ্রুপে সবাই এতোটা শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত খুব কমই দেখা যায়। তাই সমাজের অবক্ষয়, রাজনিতী, ডাক্টার আর রগী,ঔষধ ও তার সঠিক ব্যাবহার , Business policy and Strategy ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোন রকম একবার তর্ক শুরু হলেই ব্যস্ রাত ১১:৩০ পযন্ত কোন ব্রেকছাড়াই চলতে থাকে। এর পর যখন এক এক করে করো বউ, করো বাবা, করো বড় ভাই-রা বাসা থেকে কল দেয় তখনও যেন সভা ভাংতে চায় না।
যাই হোক, ইদানিং আবার একটা বিষয় বেশগুরুত্ব পাচ্ছে তা হলো শুভ-,
এই কারনে যে, আমাদের আড্ডার স্হলেই তাকে নিয়ে অনেক রাগা-রাগী, গালা-গালী চলছিল সে দিন।
সংগত করনেই আমি যানতে চাইলাম কি হয়েছে? আর উত্তরটা হলো এই রকম-
"রেহানা"- শুভর বড়বোনের বন্ধবী, তার Husband থাকেন বিদেশে, দুই সন্তানে-কে নিয়ে রেহানা ফ্লটে একাই থাকেন, আর প্রাই নিরাপত্তার খাতিরে শুভ-কে তার সাথে থাকতে হত। ব্যপারটা হোল এইরকম, কৃষক বেড়া দিয়েছে ক্ষেত বাচানোর জন্য কিন্ত বেড়াই ক্ষেত খেলো। আশ্চর্য হলাম যখন জানলাম ব্যপার টা অনেক আগেই যানাযানী হয়েছিল কিন্ত তার বাবা-মা এমন কোন পদক্ষপই নেন নি। এরপর কখন যেন এটা তার নিয়মিত বদ-অভ্যাস হয়ে গেছে সে হয়তো নিজেই জানে না, রেহানার Husband এক সময় দেশে ফিরলেন এবং সব জানতে পেরে ডিভোর্স দিলেন। কিন্ত শুভোর সেই বিষবৃক্ষ বদ-অভ্যাস আস্ত আস্ত ডালপালা মেলে ভয়ংকর রুপ ধারন করলো, এখন সে রেহানা-কে বিয়েও করবে না, আবার অন্য মেয়েদের সাথেও কম যায়না, একের অধিক মেরের সাথে একই নিয়মে অবৈধ সম্পক তার।
এই পরযন্তই সবাই আলোচনা বা সমালোচনা করে সবাই।
কিন্ত কেউই এটা ভাবেনা যে ছেলেটার হাতথেকে কি ভাবে রক্ষা করাযা্য় মেয়েগুলীকে। সে ভালছেলের রুপনিয়ে মেয়েদের সাথে মিশে আর সুযোগ বুঝে তাদের সর্বনাস করে। প্রথম দিকে হয়তো তাদের বিভিন্ন স্বপ্ন দেখায়, তারপর আর নেই। আর বোকা মেয়েগুলোর তখন আর কিছুই করার থকেনা।
অথচ সে আমাদের এই সমাকেরই একজন।
এই বার চলুন একটু উল্টো দিক থেকে ভাবি, রেহানা বা তার মতো মেয়েদের Husband, যারা আনেকটা সময় কয়েদির মত জীবনের সব সুখ বিসর্জন দিয়েছেন, আমনুষের মত পরিশ্রম করেছেন দেশে থাকা তার সন্তান আর স্তীর একটু সুখের আশায়। তারা একটু ভাল থাকবে, দুবেলা একটু ভালো খাবে- এটাইতো?? কিন্ত এর বিনিময় তার কি পাচ্ছেন? ঐ ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর কথা কি আমরা একবারও ভাবি এরা বড় হয়ে কার কাছে যাবে, আর এদেরই বা কি দোষ ছিলো?? আমরা কতটা নিচে নেমেছি?
এই লেখাটা পোস্ট করার উদ্দেশ্য, এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে প্রতিদিন ঘটছে। এটা আমাদের সমাজের একটা নগ্ন সত্য, কিন্ত এর বিরুদ্বে না কিছু বলা যায়, না করা যায়। আমরা সবাই ভাবি ব্যাপারটা গোপন রাখলেই মনে হয় ভাল, কিন্ত সমাজের এই অবক্ষয় নামক ক্যান্সার গোপন রখলে শুধু বড়বেই না বরং অন্য সকলের জন্যও ভয়ের কারন হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।