সাংবাদিক পেটানোর পর সমালোচনার মুখে থাকা আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য রনি মঙ্গলবার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন এবং এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
স্পিকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে রনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “আমি স্পিকারের কাছে জানতে চেয়েছি, আমার আচরণে সংসদ বিব্রত কিনা। জবাবে স্পিকার বলেছেন, এর মধ্যে সংসদের বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। ”
সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে শিরীন শারমিন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ““সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মাওলা রনি কী বলেছেন, সেটা একান্ত তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আমার কাছে জানতে চাইলে আমি বলব, পার্টিকুলার ওই বাক্যটি আমার নয়।
স্পিকার সবকিছু বলতে পারেন না। প্রয়োজনও নেই। ”
রনি স্পিকারের সঙ্গে কথা বলার সময় হুইপ আ স ম ফিরোজও সেখানে যান। তারা দুজনই পটুয়াখালী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে রনি আরো বলেছিলেন, “স্পিকার আমার বক্তব্য শোনার পর হুইপদের ডেকেছিলেন।
”
তার এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেছেন শিরীন শারমিন।
“আমি হুইপদের ডাকিনি। হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন আগে থেকেই আমার অফিসে ছিলেন। আর যেহেতু উনি (রনি) এসেছেন, সে কারণে হুইপ আ স ম ফিরোজ এসেছিলেন। ”
রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় রনির কার্যালয়ে গত শনিবার হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে গিয়েছিলেন তারা।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, রনি নিজেও সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন এবং লাথি মারছেন।
ঘটনার পর রনির বিরুদ্ধে ইনডিপেনডেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করে। রোববার সেই মামলায় রনি জামিন নিলেও বাদীর আবেদনে বুধবার তা বাতিল করে আদালত। এরপর পুলিশ রনিকে গ্রেপ্তার করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।