আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘রনির মুক্তিতে বাধা নেই’

এর ফলে তার মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রনির করা তিনটি আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি কাশিফা হোসেনের বেঞ্চ মঙ্গলবার তার জামিন মঞ্জুর করে।
হাকিম ও জজ আদালতে ব্যর্থ হওয়ার পর সাংবাদিক পেটানোর মামলায় জামিন চাইতে হাই কোর্টে আসেন রনি। চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গত ১১ অগাস্ট পটুয়াখালী গলাচিপা থানায় দায়ের করা দুটি মামলায়ও তিনি জামিন পান।
আদেশের পর রনির আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাংসদ রনিকে তিন মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিলো।

হাই কোর্ট থেকে তিনটিতেই তিনি জামিন পেলেন। এর ফলে তার মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
একই কথা বলেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরীও।
কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রনিকে কেন (স্থায়ী) জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে তিন মামলাতেই রুল দিয়েছে আদালত। ওই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়েছে।


চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের জন্য গত ২০ জুলাই পল্টনে রনির কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুল। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন।
ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ রনিকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এই মামলা করে।
রনি পরদিন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেও টেলিফোনে হুমকির অভিযোগে ইনডিপেন্ডেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি জিডি করার পর ২৫ জুলাই জামিন বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত।


ওই আদেশে গোয়েন্দা পুলিশ সাংসদ রনিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে হাকিম আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায়।
হাকিম আদালতে জামিন না পেয়ে গত ২৮ জুলাই জজ আদালতের কাছে আবেদন করেন রনি। কিন্তু সেখানেও জামিন না মঞ্জুর হয়।
এ মামলা সম্পর্কে অ্যাডভোকেট বাসেত সাংবাদিকদের বলেন, “বাস্তবতার সঙ্গে ঘটনার কোনো মিল নাই। এটা শত্রুতামূলক।

আদালত সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে জামিন দিয়েছেন।
একজন সংসদ সদস্য হিসাবে সংসদের আগামী অধিবেশনের আগে তার জামিন হওয়া উচিৎ বলেও আদালতে যুক্তি দেখান রনির আইনজীবীরা।
অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ শুনানিতে বলেন, “একজন সংসদ সদস্য হয়েও উনি সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুলেছেন। জাতি উনার কাছ থেকে এটা আশা করে না। উনি জামিন পাওয়ার পরও শর্ত ভঙ্গ করে হুমকি দিয়েছেন।

তাই উনাকে জামিন দেয়া ঠিক হবে না। ”
তবে আদালত সাংসদ রনির পক্ষেই আদেশ দেয়।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মাওলা রনি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের নিগৃহীত করার অভিযোগ উঠেছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।