আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওষুধ ভোগ্য পন্য না অত্যাবশ্যকিও পন্য

ওষুধ ভোগ্য পন্য না অত্যাবশ্যকিও পন্য এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিন্তু এই অত্যাবশ্যকিও পন্য নিয়ে বাজারে যে কি পরিমান অনৈতিক ব্যবসা চলছে তা আমরা খুব কম মানুষ ই জানি। আমার পেশাগত কারনে আমার এই অপ্রিয় তথ্য গুলি জানতে হয়েছে। অষুধের ব্যবসাটাই হচ্ছে মানুষ কে অন্ধকারে রেখে ব্যবসা করা। অষুধের ক্ষেত্রে জেনেরইক নেম (মুল নাম) ট্রেড নেম (বানিজ্যিক নাম) এর একটা ব্যপার আছে।

একটা অষুধ যখন বাজারজাত করা হয় তখন বানিজ্যিক নামের আরালে মূল নামটা হারিয়ে যায়। মূল নামটা এত ছোট করে লেখা হয় যে তা অনেক সময় পড়াই যায় না। আর এই সুযোগটাই নেয়া হয় সাধারন মানুষ কে অন্ধকারে রাখতে। একজন মানুষ তার জামাটা নিজ পছন্দে কিনতে পারে, খাবারটাও নিজ পছন্দে খেতে পারে, সবকিছুই মোটামুটি নিজসাধ্যমত করতে পারে। শুধুমাত্র তার অষুধ টা খ্রতে হয় অন্যের পছন্দে।

যেহেতু ওষুধ টা খেতে হয় ডাক্তারের পরামর্শ মেনে তাই এখানে কারো বাক্তিগত পছন্দ অপছন্দ আর খাটে না। এই সুজগে ডাক্তারদের হাত করে ব্যবসা করে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানী গুল। বাজারে একই ওষুধ এর হাজার রকম নাম। নাম শুনে সাধারন মানুষ দূরে থাক একজন ডাক্তার অথবা ফারমাসিস্ট এর ও তাতক্ষনিক ভাবে বোঝার উপায় নেই এটা কি ওষুধ। যার ফলে অনেক সময় এক ডাক্তার যে ওষুধ দেয় অন্য ডাক্তার এর কাছে গেলে একি ওষুধ অন্য কোম্পানির দিয়ে দেয়।

রোগীর বোঝার ও উপায় থাকে না যে দুটো একই ওষুধ। আবার একি গোত্রীয় ওষুধ এর নানা রকম দাম। যেমন এক সি্প্রফ্্লক্সাসিলিন টেবলেট বাজারে ৬ টাকা থেকে ১৪ টাকায় পাওয়া যায়। এখন কথা হচ্ছে যেটার দাম ৬ টাকা তার গুণগত মাণ কি খুব খারাপ আর যেটার দাম ১৪ টাকা তার মাণ কি খুব ভাল? প্রথম বারের এর মত লিখছি বলে গুছিয়ে লিখতে পারলাম না। পরবোর্তিতে আরো ভাল লেখার চেস্টা করব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.