আর পছন্দ করতে নতুন সম্পকে জানতে প্রিয় বন্ধুরা,
এর আগেই বলেছিলাম পাসপোর্ট করতে সোনালী ব্যাংকে ৩০০০/- টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ১০ টাকা বেশি জমা দিতে হয়েছে কোন কারণ ছাড়াই। এবার নতুন কাহিনী ঘটল ডেলিভারী নিতে....
গত জুন মাসের ২০ তারিখে পাসপোর্ট ডেলিভারী পাওয়ার কথা থাকলেও কোন ম্যাসেজ আমি পাইনি। আমার বন্ধুরা ঠিকই ম্যাসেজ পায় এবং পাসপোর্ট নিয়ে আসে। আমি কয়েকদিন পর গেলাম, জানতে পারলাম আমার নামের মিল নাই ব্যাংক জমা স্লিপ এবং পাসপোর্ট এর মধ্যে। ব্যাংক থেকে ঠিক করতে হবে।
ব্যাংকে তোতা ভাই নামে একজন ক্লার্ক আছেন তিনিই এই কাজগুলোর সমাধান করে থাকেন। খুব কষ্টে ব্যাংকে ঢুকলাম, তারপর তার কাছে গিয়ে বললাম ভাই আমাকে একটু সাহায্য করেন, আমার নামের একটু গড়মিল আছে। এটা ঠিক করে দিতে হবে।
তোতা ভাই বললেন, আপনি মহা পরিচালক, (বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর) বরাবর দরখাস্ত করে পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের সই নিয়ে আসেন। তোতা ভাই-এর কথা মত পাসপোর্ট অফিসে গেলাম, ওখান থেকে আমাকে বলা হল আপনি এটা ব্যাংকে থেকে সমাধার করবেন আমরা কিছু করতে পারবনা।
আমি বললাম ভাই প্লিজ একটু হেল্প করেন। তারপর বলল আপনি ৩য় তলায় আজিজ স্যারের কাছে যান। উনি সই করবেন। আজিজ স্যারের কাছে গিয়ে স্যার (ষাড়) আমাকে এই কাজটি করে দিন। আপনি সই না করলে ওরা কাজ করবেনা।
আজিজ (ষাড়) এটা ব্যাংকের কাজ ব্যাংক করবে আমরা কিছু জানি না। আপনি ওখানে যান ওরা (ব্যাংক) ঠিক করে দিবে। নিরুপাই আমি, অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে, তারপরও আবার তোতা ভায়ের কাছে গেলাম, খুর করুণ কন্ঠে বললাম ভাই আপনি ছাড়া একাজ ওরা করবে না, প্লিজ কাজটি করে দিন। তারপর তোতা ভাই রেগে বললেন ওরা যখন একথা বলেছে তাহলে তো আমার কথার কোন দাম নায়। ঠিক আছে আপনি রেখে যান দেখি কিভাবে হয়! আমার সামনে এরকম প্রায় আরও ৮-১০ জনের সাথে এরকম করা হল।
আমি তারপর ১০০ টাকা একটি নোট আমার কাগজের সাথে তোতার ড্রয়ারে ঢুকিয়ে দিলাম আর খুউব করে অনুরোধ করলাম তারপর তোতা ভাই বললেন ঠিক আছে রেখে যান আমি পরে দেখব। তারপর আমি চলে এলাম....এর কয়েক দিন পর আমার পাসপোর্ট ডেলিভারী নেওয়ার ম্যাসেজ আসল.. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।