আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যবিত্তের মর্মকথা// হান্নান কল্লোল

মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সংজ্ঞায়িত করা বেশ কঠিন, তবে বৈশিষ্টায়িত করা খানিকটা সহজ। এই শ্রেণির মানুষজন সীমিত কিছু সম্পত্তির মালিক, কিন্তু উৎপাদন যন্ত্রে তাদের মালিকানা একদম কম। পুঁজিবাদী উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত থাকে না, সম্পৃক্ত থাকে বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায়। কায়িক শ্রম তাদের জন্য আবশ্যিক নয়, জীবিকার প্রয়োজনে তারা মানসিক শ্রমনির্ভর। তারা উদ্বৃত্ত মূল্য সৃষ্টিও করে না, শোষণও করে না; তবে ভোগ করে।

তাদের আয়সীমা সাধারণত সীমিত, উপার্জনক্ষেত্রসমূহও প্রায়শ নির্দিষ্ট। তাদের স্বচ্ছলতা থাকতে পারে, সম্পদের প্রাচুর্য থাকে না। সামাজিক অবস্থান নির্মাণে শিক্ষা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিল্প-সাহিত্য ও বিজ্ঞান-দর্শনচর্চায় তারা অগ্রগামী। তাই বুদ্ধিজীবি শ্রেণি মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে কেন্দ্রিভুত।

জনমতগঠন ও ক্ষমতার রদবদলে তাদের ভূমিকাই মুখ্য। আন্দোলন-সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণের চাইতে তারা নেতৃত্ব প্রদানে তৎপর এবং অর্জিত ও অর্জিতব্য সুফল সবটুকু ভোগপ্রয়াসী। মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকেই বুর্জোয়া ও বুর্জোয়াবিরুদ্ধ ভাবাদর্শ উদ্ভুত-বিকশিত। তাদেরই স্বার্থসৈদ্ধিক একটি অংশ পেটিবুর্জোয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিতি পেতে চায়। সামান্যীকরণে বলা যায়, সমাজের সবচে' সুবিধাবাদী শ্রেণিটাই হলো মধ্যবিত্ত শ্রেণি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।