। । মধ্যবিত্তের প্রতিচ্ছবি। ।
আলম সাহেব একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরিরত।
ধানমন্ডিতে একটি বাসায় বেশ কবছর ধরে তিনি অবস্থান করছেন। সেই বাড়ির মালিক বেশ অমায়িক লোক। আলম পরিবারের সাথে তার ঠিক বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া সম্পর্ক নেই। এমনকি ভদ্রলোক বছরে একবার ভাড়া বাড়ানোর কথাও বেশ বিনয়ের সাথে বলতেন।
কিন্তু সেই লোকই এবার বছরে দুইবার ভাড়া বাড়ানোর তাগিদ দিলেন।
নাহলে বাসা ছেড়ে দেবারও ইঙ্গিত দিলেন। কারণ হিসেবে তিনি দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধগতির কথা বললেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে ভদ্রলোকের আয়ের একমাত্র সংস্থান বাড়িভাড়া।
এই কথা বলার পরের দিন আলম সাহেব চিন্তিত মনে অফিসে যাবার জন্যে বের হলেন। সি.এন.জি ঠিক করতে গিয়ে তার ভিরমি খাবার দশা।
আগে ২০ টাকা বেশি দাবি করতো, আর এখন দ্বিগুণেরও বেশি দাবি করছে। কারণ, গ্যাসের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখে আলম সাহেব উঠে পরলেন।
শাহাবাগে সিগ্যানালে পড়ে মেজাজটা একটু খারাপ হল। তার উপর এক ভিক্ষুক এসে মেজাজটা দিলো আরও চড়িয়ে।
ঘটনা হয়েছে যে তিনি ২ টাকা দেবার পর ভিক্ষুকটার প্রতিক্রিয়া ছিল এরকম,
“স্যার এইডা কি দিলেন? এই বাজারে ২ ট্যাহা দিয়া কি হয়? জিনিসপত্রের যেই দাম। কম হইলেও ৫ ট্যাহা দেন। “
বাকি রাস্তা যেতে যেতে আলম সাহেব চিন্তা করলেন জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও সবাই কিছুটা হলেও সামঞ্জস্য করে নিচ্ছে। কিন্তু তার মত যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের কি হবে? তারা কিভাবে সামঞ্জস্য করবে? বেতন যদি না বাড়ানো হয় তবে কিভাবে তারা দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির সাথে পাল্লা দিবে? বেতন বাড়ানোর আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না তারা জানে। উলটা মালিকপক্ষ ক্ষেপে যাবে।
তারাই বিপদে পরবে।
ভাতের পাশাপাশি হয়তো আলু খাওয়া যাবে (যদিও পুষ্টির দিক বিবেচনা করলে খরচ প্রায় সমানই পড়ে)। কিন্তু ডাল, তেল, পেয়াজ মসলাসহ অন্যান্য জিনিসের বিকল্প হিসেবে কি খাবে?
নাকি একমাত্র উপায় নিজের বিবেক, আদর্শ ও সর্বোপরি দুদকের ভয়কে উপেক্ষা করা????????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।