আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

র‌্যাব বনাম গরুর রচনাঃ সৃষ্টি, রচনা, এবং মঞ্চায়ন।

চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে। ভোর ৪.০০ টার দিকে র‌্যাবের কতিপয় সদস্য প্যান্ট ছেঁড়া রবিনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করতে যান। সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা রবিনের সহযোগীরা র‌্যাবের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, জবাবে র‌্যাব সদস্যরা পালটা গুলি ছোঁড়ে। এতে ক্রসফায়ারে পড়ে রবিন নিহত হন। ঐ স্থান হতে কয়েকটি দেশী/বিদেশী অস্ত্র এবং কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকাতে এবং র‌্যাবের সদস্যরা চৌকষ হওয়ার কারণে র‌্যাবের কোন স্থানের একটা লোমেরও স্থান চ্যুতি ঘটে নাই; উরুদ্বয়ের মাঝখানের দু-একটা ছাড়া, তাও আবার প্যান্ট ছেঁড়া রবিনকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করতে গিয়ে জাঙ্গিয়ার ঘষা-ঘষিতে। ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার ধারণার উৎপত্তিঃ ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার হচ্ছে বিচার-বহিঃর্ভূত এক হত্যাকান্ড, মূলতঃ সন্ত্রাসী/চাঁদাবাজীদেরকে ক্রসফায়ার/এনকাউন্টারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ঠিক কবে, কখন, এবং ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার ধারণার উৎপত্তি হয়েছে তা বলতে পারব না। তবে, সম্ভবতঃ (এই উপমহাদেশে) ভারতের মুম্বাইয়ে প্রথম (১১ই জানুয়ারী, ১৯৮২) ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার এর মাধ্যমে প্রথম হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়। আমার জানায় ভুল থাকলে ক্ষমা প্রার্থী।

ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার মঞ্চঃ বর্তমানে (এই উপমহাদেশে) ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, এবং শ্রীলঙ্কায় ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার মঞ্চায়িত হয়। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ৩টি দেশে ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার কোন বিশেষ টিমের সাহায্যে মঞ্চায়িত হয় কি-না জানি না, তবে বাংলাদেশে ইহা মঞ্চায়িত হয় র‌্যাব নামক এক রাষ্ট্রীয় পালোয়ান দ্বারা। এঁরা সব সরকারেরই আদরের সন্তান, অনেকটা আলালের ঘরের দুলালের মত। এঁদের কোন অপরাধ নেই, বরং সকল অপরাধীরা এঁদের ভয়ে আতঙ্কিত থাকে। এঁরা অপরাধ নির্মূলে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

র‌্যাবের কার্যক্রমে অনেকের দ্বি-মত থাকলেও, শুরুতে আমার ভালই লাগত। আমার মনে হত, খুনি/সন্ত্রাসী/চাঁদাবাজরা বিচারের অধীনে আসলে মৃত্যুদন্ডই হত। আর যেহেতু তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বা ধরা পড়লেও রাজনৈতিক নেতার সুপারিশে ছাড়া পেয়ে যায়, তাই র‌্যাবের মাধ্যমে ওদের হত্যা করা হলে মন্দ কি!! কিন্তু পরক্ষণেই ভেবে দেখলাম, (ক) ঐ খুনি/সন্ত্রাসী/চাঁদাবাজদেরকে রাজনৈতিক নেতারা শেল্টার দিয়ে থাকে। রাজনৈতিক নেতারা মূলতঃ ঐ সব খুনি/সন্ত্রাসী/চাঁদাবাজদেরকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে থাকে। ওরা ধরা পড়লে নেতাদের বিপদ, সকল অপরাধের সাথে যে রাজনীতিকরাই জড়িত সেই সত্য ফাঁস হয়ে যাবে, তাই মেরে ফেলাই উত্তম বলে মনে করেন নেতারা।

আর তাছাড়া (খ) ওরা যত অপরাধই করে থাকুক না কেন, বিচার পাওয়ার অধিকার তো তাদের আছে। এই দুটো কারণে আমি র‌্যাবের কার্যক্রম সমর্থন করতে পারছি না। লিমনঃ র‌্যাবের গুলিতে লিমন পা হাড়ায়। সে যে সন্ত্রাসী ছিল ইহা প্রমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ধরে নিলাম, লিমন সন্ত্রাসী ছিল।

কোন্‌ বিচারের রায়ে বলা হয়েছে একজন সন্ত্রাসীর পা হাড়াতে হবে!!! আর লিমন যদি সন্তাসী না হয় তাহলে সে যে পা খানা হাড়ালো তার দায়ভার বা বিচার কি হবে!!! ধন্যবাদ সবাইকে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.