কিছু মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিছু মানুষ স্বপ্নটা সত্যি করার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। জীবন আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে আপনি যেরকম থাকবেন। বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলা শুরু করে ১৯৮৬ সালে এবং ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় ১৯৯৭ সালে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা ওয়ানডে গুলা থেকে সেরা দশটা ইনিংস এখানে বাছাই করা হল।
এইটা ফেসবুকে জরিপ চালিয়ে করা হয়েছে। ইনিংস গুলা পরিস্থিতির বিচারে খেলা কোনটি সেরা সেভাবে নির্ধারন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ খেলা গুলাতে জয় পেয়েছে। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে শাফিউলের ২৪ রানটি যে কারনে বিবেচনায় আনা হয়নি তা হল- সেটা কোন পূর্নাংগ ইনিংস না, সেটা সহায়ক ইনিংস। একথা অনস্বীকার্য যে সেটা ছাড়া বাংলাদেশ জিততে পারতনা।
এই জরিপটি ফেসবুকের ফ্যান পেজ "৩২ টা থাপ্পড় দিয়ে ১ টা দাঁত ফালাইয়া দিমু" এর উদ্যোগে করা হয়েছিল।
মোট অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা ১২০০ এর বেশি কিছু।
১) মোহাম্মদ আশরাফুলের ১০১ বলে ১০০ রান বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ২০০৫ সালে এই খেলায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মত পরাজিত করে। ২০০৫ সালের সেই মহাশক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের হারানোকে তুলনা করা হয় যে কোন খেলায় সব থেকে বড় অঘটন।
২) সাকিব আল হাসানের ৬৭ বলে ৯২ অপরাজিত বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ দলের লক্ষ ছিল ৩৩ ওভারে ১৪৭। কিন্তু ফাইনালে যেতে হলে সেটা করতে হবে ২৪ ওভারে। সাকিব যখন ব্যাট করতে নামে তখন স্কোর ছিল ৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১১। সেখান থেকে শুধুমাত্র তার ইনিংসের উপর ভর করে বাংলাদেশ ২৪ ওভারের ৭ বল আগেই জিতে যায়।
৩)২০০৭ বিশ্বকাপে আশরাফুলের খেলা ৮৪ বলে ৮৭ বিপক্ষ দক্ষিন আফ্রিকা।
৪ এবং ৫) তামিম ইকবালের ৫৩ বলে ৫১ বিপক্ষ ভারত এবং ১৫৪ বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে দুটিই সমান ভোট পেয়েছে। তাই দুটিকে একই সাথে চতুর্থ এবং পঞ্চম করা হল। পরেরটিতে বাংলাদেশ ৩১২ চেজ করে জিতে।
৬) মোহাম্মদ রফিকের ৮৯ বলে ৭৭ বিপক্ষ কেনিয়া। বিপক্ষ দলটিকে দূর্বল মনে হলেও এই ইনিংসের তাৎপর্য অনেক।
একদিনের ক্রিকেটে এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। ১৯৯৮ সালে ভারতে খেলাটি হয়েছিল।
৭) মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ৬৭ অপরাজিত বনাম স্কটল্যান্ড। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাঙ্খিত জয় থেকে তখন অনেক দূরে। বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
পরে ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে গেলে। মিনিহাজুল আবেদিন নান্নু এক সাইড ধরে খেলে দলকে ১৮৫ পর্যন্ত নিয়ে যায়।
৮) শাহরিয়ার নাফিসের ১২১ অপরাজিত বনাম জিম্বাবুয়ে। চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে সেটাই বাংলাদেশের একমাত্র জয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে স্লো উইকেটে বাংলাদেশ দলকে ২৩১ রানের পুজি গড়তে সাহায্য করে।
৯) নাইম ইসলামের অপরাজিত ৭৩ বনাম জিম্বাবুয়ে। শেষ উইকেট জুটিতে নাজমুলের সাথে ৩৩ রান করে জিতায়। ৩ ওভারে যখন ২৪ লাগত নাইম তিন বলে পরপর তিনটা ছক্কা মেরে ব্যবধান কমায়- যেহেতু স্ট্রাইক নাজমুলকে দেওয়া যাচ্ছিল না।
১০) সাকিব আল হাসানের ১০১ বনাম নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের অবস্থা ৪৪ রানে ৩ উইকেট।
সাকিব এসে হাল ধরেন এবং সেঞ্চুরি করে ২৪১ এ নিয়ে যান। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে।
ইংল্যান্ডের সাথে ইমরুল কায়েসের দুটি ম্যাচ জিতানো ইনিংস ছিল। সেটা হয়ত অনেকের বিবেচনায় এখানে থাকতে পারত। ১৯৯৭ সালে আকরাম খানের হল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৭ রানের ইনিংসটির ওডিয়াই মর্যাদা নেই।
কিন্তু পরিস্থিতির বিচারে সেটা হয়ত বাংলাদেশের সব থেকে সেরা ইনিংস হত। এক কথায় সেটার উপরই বাংলাদেশের ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। এই ১০ টা ইনিংসের স্কোরকার্ড পরে এ্যড করে দিব। সময় স্বল্পতার কারনে এখন দেওয়া গেলনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।