সিন্দাবাদের ভূত ভর করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উপর! শত চেষ্টা করেও যেমন ঘাড় থেকে ভূত তাড়াতে পারছিলেন না সিন্দাবাদ, তেমনি ক্যাচ মিস ও ম্যাচ মিসের বেড়াজাল ভেঙে বের হতে পারছে না টাইগাররা। প্রথম দুই ওয়ানডেতে সহজ ক্যাচ হাত গলে বেড়িয়েছে ক্রিকেটারদের, দেখে মনে হয়েছে হাতের তালু পিচ্ছিল হয়ে পড়েছিল! কাল যত না আলোচনা হয়েছে সাঙ্গাকারার সেঞ্চুরি, তামিমের একাদশে না থাকা, কিংবা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খেলা নিয়ে; তার চেয়েও বেশি আলোচনার খোরাক যুগিয়েছে ক্যাচ মিসের দৃশ্যগুলো। প্রথম ওয়ানডে হাতছাড়া হয়েছিল চার ক্যাচ মিসে। কালও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। এশিয়া কাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ৬১ রানে হেরেছে টাইগাররা।
অপর দিকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। হারের মধ্যেও টাইগারদের বড় প্রাপ্তি অধিনায়ক মুশফিকের প্রত্যয়ী ব্যাটিং। কাল ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে। অথচ আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে প্রথম ওয়ানডে। আলোচনার মূল কারণ ক্যাচ মিস।
প্রথম ওয়ানডেতে ৬৭ রানে দ্বীপরাষ্ট্রের ৮ উইকেট তুলে যখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে টাইগাররা, তখনই ছন্দ তোলা তানপুরার তারটি ছিঁড়ে যায়। লাইনচ্যুত হয়ে পড়েন মুশফিকরা। মিস করতে থাকেন একের পর এক ক্যাচ। সেই ধারা ৪৮ ঘণ্টা পর ফিরে এসেছিল কালও। এবারও মিস চার চারটি ক্যাচ।
মাত্র ১০ বলের ব্যবধানে দুুটি ক্যাচ মিস করেন মুমিনুল। একাদশে সুযোগ পেয়ে বিস্ময়ের জন্ম দেওয়া মাহমুদুল্লাহ সহজ ক্যাচ মিস করেন শর্ট ফাইন লেগে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলি ম্যাথুসের। অবশ্য সাঙ্গাকারা ও থিসারা পেরেরার দুই ক্যাচ ধরেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ততক্ষণে তুরাগ নদীর পানি গড়িয়েছে অনেক। চট্টগ্রাম টেস্টে ৩১৯ ও ১০৫ রানের ইনিংসের পর সাঙ্গাকারা কাল করলেন ১২৮ রান।
তার সেঞ্চুরিতেই ৬ উইকেটে ২৮৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। মিরপুরের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে এটাই লঙ্কানদের সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ২০১০ সালে ৩ উইকেটে ২৬১। অবশ্য সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৯০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে আবারও চাপের মুখে ভেঙে পড়ে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। গুটিয়ে পড়ে ৪৩ ওভারে ২২৮ রানে।
ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্বের মধ্যে একাই লড়াই করেন অধিনায়ক মুশফিক। খেলেন ক্যারিয়ারের ১৩ নম্বর হাফসেঞ্চুরি। ৭৯ রানের পর্বতসমান দৃঢ়তার ইনিংসটি খেলেন ৮৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।