I deem them mad because they think my days have a price... পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপ গা শিউরিয়ে দেওয়ার জন্য এই শব্দগুলোই যথেষ্ট। তাদের মনে করলেই হত্যা,ধর্ষণ,ড্রাগ,সিরিয়াল কিলিং,অস্ত্র বিকিকিনি, আর বোমা মেরে নিস্তব্ধ করে দেওয়া কোলাহলময় স্বাভাবিক জীবন যাপন- এই সব গুলো ভয়ংকর জিনিস ই একসাথে চোখের সামনে ভেসে উঠে। কি করেনা এই গ্রুপ গুলো???অপরাধের সব অলিগলিতে বসবাস তাদের। জীবন তাদের কাছে নৃশংসতায় ভরা এক জঘন্য উপাখ্যান।
১।
Aryan Brotherhood
আমেরকার সবচেয়ে বড় জেলহাউস গ্যাং গুলোর মধ্যে একটি। এখনকার সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে ধরা হয় এটিকে। যদিও এদের জেল্বন্দিদের সংখ্যা আমেরিকার জেলবন্দিদের মধ্যে ১% এর চেয়েও কম,কিন্তু পুরো আমেরিকার প্রায় ২৬% জেল হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এদের কারনে। সবচেয়ে অদ্ভুত আর বিস্ময়কর তথ্য হল এই গ্যাঙের সদস্য হতে হলে আপনাকে অন্য কোন জেল বন্দীকে হত্যা করতে হবে বা প্রহার করতে হবে আপনার শেষ সামর্থ্যটুকু পর্যন্ত।
২।
The Mungiki
কেনিয়ার এই গ্যাং টি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর গ্রুপ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যযুগীয় বর্বরতার জন্য। কেনিয়ার দরিদ্রতম শহরগুলোতে বিশেষকরে নাইরুবিতে এটি নিজের একাধিপত্য স্থাপন করেছে বহু আগেই। পাশ্চাত্যের ঘোরতর বিরোধী এই গ্রুপটি এখনো শত্রুর মাথা কেটে ফেলা,মেয়েদের যোনিছেদ,শত্রুর লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা এইসব মধ্যযুগীয় কায়দা নিজেদের মধ্যে রেখে দিয়েছে পুরোপুরিভাবে।
৩। Black Guerrilla Family
১৯৬৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার জর্জ জ্যাকসন নামে এক ব্যাক্তির হাত ধরে এই গ্রুপটির আত্মপ্রকাশ।
তখনকার আফ্রো- আমেরিকান সংঘর্ষের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতেই এই গ্রুপের সৃষ্টি। এরা মার্ক্সবাদী আদর্শে বিশ্বাসী। এই গ্যাঙের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০০০০। প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতিতে অংশ নেয়া এই গ্রুপটি ড্রাগ চোরাচালান আর সিরিয়াল কিলিং এর সাথেও জরিত। এই গ্রুপে যোগ দিতে হলে সদস্যদেরকে অবশ্যই কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্য সদস্যের নমিনেটেড হতে হবে।
৪। Primeiro Comando da Capital
এটি ব্রাজিলের একটি নবীনতম কিন্তু ভয়ানক দুর্ধর্ষ একটি গ্যাং। ১৯৩৩ সালে আট জন প্রিজনার মিলে এই সংঘটনটি শুরু করে। প্রচণ্ড ভাবে সরকার বিরোধী এই গ্রুপটি সবসময় সরকারি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুদুমাত্র ২০০৬ সাল থেকেই সরকারি স্থাপনা গুলোতে ৩০০ বারের মত হামলা চালিয়েছে।
পুরো গ্যাং টি চলে সদস্যদের টাকায়। এই গ্যাঙের সবাইকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়। জেলবন্দিদের জন্য এই পরিমান হল ২৭ ডলারের সমান,কিন্তু জেলের বাইরের সদস্যদের জন্য এটি ২৭০ ডলার। এই টাকার বেশির ভাগ ই খরচ হয় অবৈধ অস্র আর ড্রাগ কেনায়।
৫।
Crips
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই গ্রুপ টিকে আমার সবচেয়ে ভয়ংকর মনে হয়। ১৯৬৯ সালে ষোল বছরের এক যুবকের দ্বারা যে গ্রুপটির শুরু সেটির এখন বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০০০০০। আমেরিকার একটা বিশাল অংশ জুড়ে এদের অবাধ রাজত্ব। আশ্চর্যের ব্যাপার হল এরা সবসময় নীল জামা গায়ে দিয়ে থাকে। এটাকে তারা গ্রুপের আভিজাত্য মনে করে।
আমেরিকার সব ধরনের অপরাধ যেমন মার্ডার,ড্রাগ ডিলিং,ব্যাংক ডাকাতি সবকিছুর সাথেই এই গ্রুপের একটা বিশাল অংশের রয়েছে অবাধ অংশগ্রহণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।