আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিরে দেখা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন- ১৯৯৬ : আ’লীগ জাপা ও জামায়াতের ৭০ দিন হরতাল অবরোধ ২৬ দিন অসহযোগ : সহিংসতায় নিহত প্রায় অর্ধশত : আহত সহস্রাধিক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ’৯৪, ’৯৫ ও ৯৬ সালের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতে ইসলামী অভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৯৬ দিন হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে ৭০ দিন হরতাল অবরোধ এবং ২৬ দিন অসহযোগ। এসব কর্মসূচিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পাশাপাশি একটি লাগাতার ৯৬ ঘণ্টা, ২টি ৭২ ঘণ্টা এবং ৫টি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকা হয়। আর ২৬ দিনের অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে লাগাতার পালিত হয় ২২ দিন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করে হরতালের কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জামায়াত।

এক্ষেত্রে ’৯৬ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যেখানেই নির্বাচনী সফরে যান সেখানেই হরতাল ডাকা হয়। বিরোধী দলগুলোর জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে ডাকা এসব কর্মসূচিতে ব্যাপক ভাংচুর, বোমাবাজি, ককটেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং সহিংসতায় নিহত হয় প্রায় অর্ধশত মানুষ, আহত হয় সহস্রাধিক। ’৯৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিন হরতাল ও গণকারফিউ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয় এবং আহত হয় আরও ৬ শতাধিক মানুষ। এদিকে বিরোধী দলগুলোর হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পিকেটিংয়ে অংশ নেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের জিল্লুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, কাজী জাফর আহমেদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, কাজী ফিরোজ রশীদ, জামায়াতে ইসলামীর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ প্রমুখ।

অন্যদিকে ’৯৬ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত এক জনসভায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভেবেছেন রোজার মাসে হরতাল হবে না। ইচ্ছেমতো ভোট চুরি করে একদলীয় নির্বাচন করিয়ে নেবেন। কিন্তু তিনি জানেন না রোজার মাসেও যুদ্ধ হয়েছিল। আর লাগাতার ৯৬ ঘণ্টা হরতাল চলাকালে ১৯৯৫ সালের ১৮ অক্টোবর ফার্মগেটের এক সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেন, এ সরকার হরতাল ছাড়া আন্দোলনের কোনো ভাষা বোঝে না। হরতালে মানুষের দুুঃখ কষ্ট হয়।

কিন্তু এছাড়া আমাদের করারইবা কী আছে? এদিকে লাগাতার ৯৬ ঘণ্টা হরতাল চলাকালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ এক সমাবেশে বলেন, ৯৬ ঘণ্টা হরতাল রাজনীতির ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এতকিছুর পরও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভুলেই গেছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। গত ১১ মে দলের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, আমরা কোনোদিনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ছিলাম না। আমরা মনে করি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো রাজনীতিবিদদের কপালে কলঙ্কের তিলক। এই কলঙ্ক আমরা মুছে দিতে চাই।

তাই আদালতের রায়কে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় ’৯৪, ’৯৫ ও ’৯৬ সালের হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো— ১৯৯৪ সাল : ২৬ এপ্রিল হরতাল, ১০ সেপ্টেম্বর অবরোধ, ১১, ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর হরতাল, ২৭ সেপ্টেম্বর অবরোধ ৩০ নভেম্বর অবরোধ, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর হরতাল, ২৪ ডিসেম্বর অবরোধ, ২৯ ডিসেম্বর অবরোধ। ১৯৯৫ সাল : ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি হরতাল। ১৯ জানুয়ারি অবরোধ। ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি হরতাল।

১২ ও ১৩ মার্চ লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল। ২৮ মার্চ ঢাকা অবরোধ। ৯ এপ্রিল ৫ বিভাগে হরতাল। ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর লাগাতার ৩২ ঘণ্টা হরতাল। ৬ সেপ্টেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।

১৬, ১৭, ১৮ সেপ্টেম্বর লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতাল। ৭ এবং ৮ অক্টোবর পাঁচ বিভাগে লাগাতার ৩২ ঘণ্টা হরতাল। ১৬, ১৭, ১৮ এবং ১৯ অক্টোবর লাগাতার ৯৬ ঘণ্টা হরতাল। ৬ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ। ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।

৯, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতাল। ১৭ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ। ১৯৯৬ সাল : ৩ ও ৪ জানুয়ারি লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল। ৮ ও ৯ জানুয়ারি লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল।

১৭ জানুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ২৪ জানুয়ারি সিলেটে ১১ ঘণ্টা হরতাল। ২৭ জানুয়ারি খুলনায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ২৮ জানুয়ারি খুলনায় অর্ধদিবস হরতাল। ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।

৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হরতাল। ৩ ফেব্রুয়ারি অর্ধদিবস হরতাল। ৭ ফেব্রুয়ারি ফেনীতে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত হরতাল। ৮ ফেব্রুয়ারি ফেনীতে হরতাল।

১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে হরতাল। ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জে হরতাল। ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অবরোধ। ১৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার হরতাল। ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি লাগাতার অসহযোগ।

৯ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত লাগাতার ২২ দিন অসহযোগ। এসব কর্মসূচির খবর ওই সময়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো। অবরোধ সংঘর্ষ : পুলিশ সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি কেন্দ্র করে শনিবার রমনা, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্তান এলাকায় সংঘর্ষে ১১ জন পুলিশ, কয়েকজন সাংবাদিকসহ বহু লোক আহত হয়েছেন। পুলিশ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে লিপ্ত ১৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিম ও জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি কর্নেল (অব.) আবদুল মালেক রয়েছেন। জনাব নাসিমকে পিজি হাসপাতালে ও জনাব মালেককে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দৈনিক মিল্লাতের ফটোসাংবাদিক শাহাদাত হোসেন ও পুলিশ কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পল্টন এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে জাতীয় পার্টির কিছু কর্মীর অবস্থানের দিক থেকে বর্ষিত গুলিতে এরা আহত হন। দুটি দলের আহূত কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারদিকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ মত্স্য ভবন, হাইকোর্ট মাজার, পল্টন মোড়, বিজয়নগর, গোলাপ শাহ মাজার ও জিপিও’র সামনে ব্যারিকেড দেয়।

অবরোধ আহ্বানকারী আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগুনোর জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে সহিংসতার আশ্রয় নেয়। পুলিশ তাদের ঠেকাতে গেলে তারা নির্বিচারে পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। পল্টন মোড়ে জাতীয় পার্টির কিছু কর্মী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লাঠিচার্জ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দেয়ালের বেশকিছু অংশ ভেঙে ফেলে।

গুলিতে আহত ফটোসাংবাদিক শাহাদাত হোসেন ইবনে সিনা ক্লিনিকে চিকিত্সা নেন। কনস্টেবল শহীদুল ইসলামকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। (দৈনিক বাংলা : ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪) বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী হাঙ্গামায় নিহত ৯ জন বহু আহত স্টাফ রিপোর্টার : দেশব্যাপী নির্বাচনী হাঙ্গামা, বোমা, সংঘর্ষ, গুলিবিনিময় ও গণপিটুনিতে গতকাল ৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। গত বুধবার রাতে রাজবাড়ীতে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন আনসার ও একজন ছাত্র নিহত হয়। হামলা ও হাঙ্গামায় আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক ব্যক্তি।

চট্টগ্রামে একজন গুলিতে এবং একজন বোমায় প্রাণ হারান। ঝিনাইদহে গুলি ও গণপিটুনিতে দুই জনের মৃত্যু ঘটে। ফরিদপুরে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের গুলিতে একজন মারা যান। দিনাজপুরে নিরপত্তাবাহিনীর গুলিতে একজন প্রাণ হারান। সিলেটের বিয়ানীবাজারে নিহত হয়েছেন একজন।

নির্বাচন বিরোধীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যালট বাক্স ও ভোটের সরঞ্জাম লুটপাট, ভোটকেন্দ্র এবং প্রার্থীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। কোনো কোনো জায়গায় প্রিজাইডিং অফিসারদের অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে। ... (দৈনিক বাংলা : ১৬ ফেব্রুয়ারি ’৯৬) বিএনপি সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী সফরকে টার্গেট করে যেসব আঞ্চলিক হরতাল ডাকা হয় সেগুলোও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। এর কয়েকটির অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো— আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির আহ্বানে ২৪ জানুয়ারি বুধবার সিলেটে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে গুলি, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, বোমাবাজিতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।

ভোর থেকে সিলেট ছিল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেনাবাহিনী ও বিডিআরের কড়া পাহারায় হজরত শাহজালালের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু জন্য সিলেট আসেন। দুপুর পৌনে একটা থেকে সোয়া ৩টা পর্যন্ত তিনি সিলেট ছিলেন। (সংবাদ, ২৪ জানুয়ারি ’৯৬)। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নির্বাচনী সফরের প্রতিবাদে খুলনা ও বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর আহ্বানে ২৭ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়।

হরতাল চলাকালে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে খুলনায় কামাল নামের একজন (১৪) নিহত ও ৭৫ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৮ জানুয়ারি খুলনায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করা হয় (সংবাদ, ২৯ জানুয়ারি ’৯৬)। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৭ ফেব্রুয়ারি তার নির্বাচনী এলাকা ফেনী সফরের প্রথম দিনে ৬টা-৩টা হরতাল ও কালো পতাকার সম্মুখীন হন। তার গাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত এ হরতালের ডাক দেয়। (সংবাদ, ৮ ফেব্রুয়ারি ’৯৬)। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজশাহী সফর উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত রাজশাহীতে হরতালের ডাক দেয়। এ হরতালের মধ্যেই বেগম জিয়ার নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। হরতালের সময় সংঘর্ষে বাবুল নামের এক পুলিশ নিহত ও ৬ সাংবাদিকসহ ৭৫ জন আহত হয়।

(সংবাদ ১১ ফেব্রুয়ারি ’৯৬)। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.