সমকাল-------
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এবং মিউনিখভিত্তিক আইএফও ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিক রিসার্চ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এশিয়ার কয়েকটি প্রধান দেশের মতোই সন্তোষজনক বলে মূল্যায়ন করেছে।
গতকাল বুধবার প্যারিসে আইসিসি সদর
দফতরে প্রকাশিত এক ত্রৈমাসিক রিপোর্টে বাংলাদেশকে হংকং ও মালয়েশিয়ার মতো এশিয়ার প্রধান অর্থনীতির পাশে স্থান দেওয়া হয়েছে। ১২০টি দেশের এক হাজারের বেশি অর্থনীতিবিদের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি তৈরি করা হয়েছে।
জরিপে বলা হয়, ডবি্লউইএসের সর্বশেষ ফল অনুযায়ী বাংলাদেশ, হংকং, মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সন্তোষজনক।
জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, এ ক'টি দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা চলতি বছরের আগামী ছয় মাস 'মোটামুটি' ভালো থাকবে।
তবে জরিপে সব এশীয় দেশকে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়, এতে করে এ অঞ্চলের অনেক দেশ সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণে বাধ্য হবে এবং এসব দেশে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সুদের হার বাড়বে।
জরিপে বলা হয়, চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। যা হবে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। কেননা এ সময়ে ভারত ও শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি হবে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও মালয়েশিয়ায় ৪ শতাংশ।
জরিপে বিশ্বব্যাপী ভোক্তা মূল্যসূচক ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে বলা হয়, মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে।
তবে রিপোর্টে বলা হয়, আগামী ছয় মাসে কিছু এশীয় দেশে মার্কিন ডলার দুর্বল হতে পারে। যা আমদানিনির্ভর পণ্যের ভোক্তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনবে। জরিপে মন্তব্য করা হয়, হংকং, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অনেক এশীয় দেশের মতো বাংলাদেশের মুদ্রা অবমূল্যায়িত।
বিশ্ব অর্থনীতিতেও সুবাতাস : ইউএনবি জানায়, মন্দা কাটিয়ে উঠছে বিশ্ব অর্থনীতি। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও বাজেট ঘাটতির মতো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০০৭ সালের পর বিশ্ব অর্থনীতি এ পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল সময় পার করছে।
জরিপে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনীতির শক্তি অর্জন অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর একযোগে কাজ করা এবং একটি বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে। আইসিসির মহাসচিব জ্যাঁক গুয়ে ক্যারিয়ার জানান, বিশ্ব অর্থনীতির সামনে কিছু সমস্যাও রয়েছে। এগুলো হচ্ছে_ অনেক দেশের বাজেট ঘাটতি, সুদের উচ্চ হার এবং ডলার, পাউন্ড ও ইউরোর সঙ্গে উন্নয়নশীল ও গরিব দেশের মুদ্রামানের অনাকাঙ্ক্ষিত ওঠানামা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।