দিয়ে ছিলে যা নিয়ে নিতে পার, লেখা কবিতা গাওয়া গান যত, খুজে দেখো না পাবে না কেউ আমার মত...
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ১৭ দিন পার করে বেঁচে এসেছেন রেশমা বেগম, যার চেয়ে বেশি সময় এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে মাত্র দুজনকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সালে পাকিস্তানে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া ঘরের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়েন নাকাশা বিবি, যিনি পঁচা খাবার আর পানি খেয়ে বেঁচে ছিলেন ৬৩ দিন।
এরপর ২০১০ সালে হাইতিতে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি বিপণীবিতানের ধ্বংসস্তূপের নিচে ২৭ দিন পার করে জীবিত উদ্ধার হন ইভান্স মোনসিজনাক, যিনি টিকে ছিলেন পয়ঃনিষ্কাশন পাইপের পানি খেয়ে।
গত ২৪ এপ্রিল সাভারের নয়তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ার সপ্তদশ দিনে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত বের করে আনা হয় পোশাককর্মী রেশমাকে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, মেঝে পড়ে থাকা পানি ও তার সহকর্মীদের ফেলে যাওয়া খাবারে ১৫ দিন পর্যন্ত চলেছেন রেশমা।
তবে গত দু’দিন তিনি অভুক্ত অবস্থায় আছেন।
এরপর তাকে গর্ত দিয়ে পানি ও খাবার দেয়া হয়। উদ্ধারের পর রেশমা সম্পূর্ণ অক্ষত থাকলেও তাকে দুর্বল দেখাচ্ছিল।
১৯৯৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামপোং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ধসের ১৭ দিন পর পার্ক সেউং হায়ুন নামে ১৯ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। বৃষ্টির পানি খেয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
তার আগে ১৯৯০ সালে ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া একটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন পেদরিতো দি। ১৪ দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। পানি ও প্রস্রাব খেয়ে প্রাণ বাঁচান তিনি।
রেশমার জীবিত উদ্ধার হওয়ায় আসলে কতোদিন ধ্বংসস্তূপের নিচে টিকে থাকা যায় তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
কোনো দুর্ঘটনার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা না গেলে জাতিসংঘ সাধারণত পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা বন্ধের সিদ্দান্ত নেয়।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি দিন ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে থাকে মানুষ।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) সমন্বয়ক জুলি রায়ান বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে অক্সিজেন ও পানির সরবরাহ থাকলে এবং আটকা পড়া ব্যক্তি গুরুতর আহত না হলে অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারেন।
২০০৫ সালে পাকিস্তানে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি স্কুলভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে পাঁচ দিন পর তিন শিক্ষার্থীকে তাদের উদ্ধারকর্মীরা জীবিত বের করে আনেন বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ বিডিনউজ২৪ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।