আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রম: লাদেন, আমেরিকার কল্পিত নায়কে'র কল্পিত মৃত্যু :-))



Click This Link লাদেন'কে নিয়ে আমার গত লেখাটি পড়ে আমার এক বন্ধু বলল, "তাহলে ৯/১১ কে কি বলবে? তোমার ব্যাক্ষা টা কি?" আর সেই ব্যাক্ষা দিতে গিয়েই এই লেখার অবতারনা। আমি উল্টো তাকে জিগ্গেস করলাম, "তোমার কি মনে হয় ৯/১১ লাদেনে'র কাজ?" - ণিশ্চয়ই। সেটাতো সবাই জানে। - কি করে সবাই জানলো? জানালো'টে কে? আমেরিকাতো? আমি বুঝিনা আমেরিকা যা বলে তা ই তোমরা কি করে এতো সহজে বিশ্বাস কর। তুমি আমাকে এটা বলো, লাদেন কি এতই শক্তিশালি যে যেই আমেরিকার সীমানায় (যদিও গোটা বিশ্বটাই ওদের সীমানয় পরে) বাইরে থেকে একটা মাছিও ঢুকতে পারেনা তাদের শক্তিশালি ইন্টেলিজেন্স টিমে কে ফাঁকি দিয়ে সেই আমেরিকার প্রানকেন্দ্র নিউ ইয়র্কে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হাইজ্যাক করা বিমান নিয়ে হামলা করলো আর কেউ আগে থেকে কিছুই জানতে পারলো না।

এটা নিশ্চয়ই তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে বলবেনা যে ব্যাপারটা হঠাৎ হয়ে গেছে; এটা পুর্ব পরিকল্পিত ছিল না তাই কেউ জানতে পারেনি। অবশ্বই এমন একটা ঘটনা ঘটাতে সুদীর্ঘ এবং সুক্ষ পরিকল্পনা লাগে। আমেরিকা সেই সুদীর্ঘ পরিকল্পনার কিছুই টের পেলনা এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কথা? তবে কি সেটা খুব বেশি সুক্ষ ছিল? হ্যা, খুব বেশি সুক্ষ ছিল। আর তাই আমেরিকা নিজেই এমন ভয়ংকর একটা ঘটনা ঘটিয়ে এত সহজে তা লাদেনে'র নামে চালিয়ে দিতে পেরেছে। আধুনিক সুপার পাওয়ার আমেরিকায় ৯/১১ কিন্তু প্রথম এবং শেষ।

এটাও মাথায় রাখতে হবে। আমার বন্ধু'কে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ মনে হল। তবুও সে শেষ চেষ্ট করল, "নিজেদের লোক কে নিজেরা মারবে? এমন বিজনেসের প্রান টুইন টাওয়ার-পেন্টাগন ভেঙ্গে দেবে? এটা অসম্ভব"। - আমেরিকার পক্ষে সবই সম্ভব বন্ধু। আমাকে বলতো, লাদেনের এত ক্ষোভ শুধু আমেরিকার উপরে কেন? সেতো মুসলিম।

তার ক্ষোভ থাকবে যেখানে যে মুসলমানদের অত্যাচার করছে তারই উপরে। তাই না? তাহলে ইস্রাইল ফিলিস্তিনিদের বছরের পর বছর ধরে হত্যা-নির্জাতন-দেশছারা করে চলেছে, তবুও লাদেনের তাতে কোন মাথা ব্যাথা নেই কেন? আমার বন্ধু কোন জবাব দিল না। হয়ত জবাব খুজছিল। আমি বলতে শুরু করলাম: - লাদেনের কোনও মাথা ব্যাথা নেই কারন আমেরিকার কোনও মাথা ব্যাথা নেই, আমেরিকা চায়না ইস্রাইলে কোনও সমস্যা হোক। কেননা গোটা বিশ্বকে তো ইস্রাইল ই দেখি্যে দিচ্ছে যে আসলে পৃথীবি'তে আমেরিকা ছারা আর কেউ ই কিছু না।

ঐসব জাতিসংঘ হচ্ছে একটা আই ওয়াস। আমেরিকা না চাইলে জাতিসংঘ হয়ে যায় বল ছারা ক্রিকেট ব্যাটে'র মত, যার কিছু করার কোনও ক্ষমতা নেই। জাতিসংঘের প্রধান নির্বাচিত হয় আমেরিকার ইশারায়। জাতিসংঘ কাজ করে আমেরিকার ইসারায়। বন্ধু, আমেরিকা নিজেই হোয়াইট হাউজে বসে সেই সুক্ষ পরিকল্পনাটি করেছে যার সাথে জরিত ছিল তাদের মহা-শক্তিমান ইন্টেলিজেন্স টিম।

এটা যদি বিশ্বাস কর দেখবে সব হিসাব কেমন সরল (জটিল) অংকের মত মিলে যচ্ছে। আমার বন্ধু নিরিহ মুখে বলল, "তোমার কথায় যুক্তি আছে, কিন্তু বিশ্বাস করা কঠিন। তাছারা তোমার কথার বেইজ হচ্ছে যুক্তি। তোমার হাতে তো কোনও প্রমান নেই। তাই না?" আমি বললাম, "বন্ধু, আমার যুক্তি'কে ভুল প্রমান করার দায়ীত্ব'তো তোমার।

প্রমান কর আমি যা বলছি তা ভুল। ভেবে দেখো, লাদেন যদি সত্যিই থাকে আর আমেরিকার চোখ ফাঁকি দিয়ে ৯/১১ ঘটিয়ে ফেলতে পারে তাহলে তার নেটওয়ার্ক কতটা শক্তিশালি। কিন্তু এত শক্তিশালি নেটোয়ার্ক নিয়ে সে টেরই পেলনা যে আমেরিকা তার আস্তানা'র খবর পেয়েগেছে, আর তাকে ধরতে আসছে! শুধু ধরতেই আসানয়, তাকে মেরেই গেল। ভাবলে খটকা লাগেনা? ঠান্ডা মাথায় ভাবো, সব হিসাব মিলে যাবে। " আমার বন্ধু হঠাৎ যেন জেগে উঠল, "ঠিক আছে, তোমার সব যুক্তি যদি মেনে নেই তাহলে বলো লাদেন'কে কেন মারতে হল।

তোমার যুক্তি অনুযায়ি লাদেন মরেগেলেতো আমেরিকারই ক্ষতি কেননা তাদের কিছু করার থাকবে না। " - হুম, এতক্ষনে একটা ভাববার মত কথা বলেছো। আমি ভেবেছিও। দেখো লাদেন কে মরতে হয়েছে ওবামা'র নিজের স্বার্থে। শান্তিতে নবেল বিজয়ী ওবামা মিসর, ইয়েমেন, লিবিয়া সহ মুসলিম বিশ্বে কোন্দল আর যুদ্ধ-বিগ্রহ বাঁধিয়ে নিজের জনপ্রিয়তা'কে প্রায় শুন্যে'র কোঠায় নিয়ে এসেছিল।

গাদ্দাফি'র ছেলে হত্যা'র মধ্যদিয়ে তা একেবারে ধুলায় মিশতে বসেছিল। এই সময় আবার তার ভাবমুর্তি স্ব-অবস্থানে ফিরে পাওয়ার জন্য লাদেন'কে হত্যা করা ছাড়া আর কোন বিকল্প ছিল না। তা তিনি করেছেন এবং গোটা বিস্ব থেকে বাহবা ও পাচ্ছেন :-)) খুব মজা না? মনে রেখ ওবামা এমন একজনকে মেরেছে যাকে সবাই বিশ্বে'র সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসি হিসিবে জানে। আর আমেরিকা যেমন লাদেন'কে মেরেছে তেমনি তাকেচাইলে বাঁচিয়ে'ও দিতে পারবে। কল্পিত বস্তুকে বাচিয়ে তোলা কি খুব কঠিন? হয়ত নামটা পরিবর্তন করতে হবে।

লাদেনে'র জায়গায় হয়ত নামটা হবে আইমান আল জাওয়াহিরি ;-) আমার বন্ধু চুপ করে গেল। আপনারা কি কিছু ভাবছেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.