আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জন্মদিনে আর্থার সি ক্লার্কের তিনটি ইচ্ছায় আমার ক্রম ২, ৩, ১ ; আপনার ?

শুধু রক্ত নয়, আমি আমার চোখ, কিডনী, দাত আরো যা যা দেবার মতো, তার সবই দিতে চাই ; এখন দরকার হলে এখনই । কোথায় আসতে হবে বললেই চলে আসবো , আমাকে মেরে ,কেটে টুকরো টুকরো করে যার যেটা লাগবে নিয়ে নেবেন । আর সন্ধানী বা কোন হাসপাতালে একটা খবর দেবেন, যাতে ওরা বাকিটা নি

রবিবার ৯০ বছরে পা দিলেন খ্যাতিমান কল্পবিজ্ঞান লেখক আর্থার সি ক্লার্ক। জন্মদিনের তিনটি ইচ্ছের কথা বলতে গিয়ে 'ইটির আহ্বান', 'পৃথিবী জুড়ে তেলের ব্যবহার কমানো' ও 'শ্রীলঙ্কার জন্য শান্তি' কামনা করেছেন এই ব্রিটিশ লেখক। খবর ভারতীয় ওয়েবসাইটের।

মানুষের চাঁদে যাওয়া, কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার সহ বিজ্ঞানের অনেক সা¤প্রতিক আবিষ্কারের ব্যাপারে অনেক আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন এই লেখক। স¤প্রতি তিনি বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে মহাশুন্য ভ্রমণ বা স্পেস ট্রাভেল খুব সাদামাটা একটা ঘটনা হবে। জন্মদিনে এক ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি তার তিনটি ইচ্ছের (বার্থডে উইশ) কথা জানান। ক্লার্ক বলেন, "আমাকে যদি তিনটি ইচ্ছের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে আমি বলবো : আমি পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব দেখে যেতে চাই। আমি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি এই বিশ্বে আমরা নিঃসঙ্গ নই।

আমরা এখনো ইটি'র (এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল) অপেক্ষায় আছি, যে কোনও সময় তারা হয়তো আমাদের সংকেত পাঠাবে। " "দ্বিতীয়ত বিশ্ব জুড়ে তেলের ব্যবহার কমে যাক, এটা আমি চাই। তেলের ব্যবহার বিশ্বের জলবায়ূগত বিপর্যয় তৈরি করে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করছে। পৃথিবীটাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করার জন্য তেল ও কয়লার ব্যবহার আমরা বাড়তে দিতে পারি না। " তৃতীয় ইচ্ছের কথা বলতে গিয়ে ক্লার্ক বলেন যে তিনি শ্রী লংকায় শান্তি দেখতে চান।

গত ৫০ বছর ধরে এই বৃটিশ লেখক শ্রী লঙ্কায় বসবাস করছেন। এখানে থেকেই তিনি প্রায় ৮০টি বই লিখেছেন। লাভ করেছেন শ্রী লঙ্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। স্যার ক্লার্ক বলেন, "আমি ৫০ বছর ধরে শ্রী লঙ্কায় বসবাস করছি। এর অর্ধেকটা সময়ই অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে দেশটিতে দারুন বিবাদ দেখতে হচ্ছে আমাকে।

আমি চাই শ্রী লঙ্কায় দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক। " ১৯৮৩ সাল থেকে তামিল টাইগার গেরিলাদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছে, এর মধ্যে গত বছরই মারা গেছে ৫ হাজার। ১৯১৭ সালে ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ক্লার্ক ১৯৫০ এর দশকে শ্রী লঙ্কায় স্কুবা ডাইভিংয়ে এসে দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি এখানে বসবাস করছেন। ১৯৪০ এর দশকে ক্লার্ক ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন ২০০০ সালের মধ্যে মানুষ চাঁদে যাবে।

তখন এ কথা শুনে অনেকে এটাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কৃত্রিম উপগ্রহের সম্ভাব্যতার কথা বলেন। মানুষ চাঁদে যায় ১৯৬৯ সালে। প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক মহাকাশে যায় ১৯৫৭ সালে। প্রায় ৫০০ ছোট গল্পের লেখক ক্লার্কের বিখ্যাত বইগুলির মধ্যে '২০০১ : এ স্পেস অডেসি' নিয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার স্ট্যানলি কুবরিক অসাধারণ একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেন।

জন্মদিনে ক্লার্ক জানান, হুইলচেয়ারে দিন কাটালেও তার মন এক স্পেস ক্যাডেটের মতোই মহাশুন্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। কল্পবিজ্ঞানকার বিশ্বাস করেন, "মহাশুন্য যুগের সোনালী সময় সামনেই। " তিনি বলেন, "আগামী ৫০ বছরের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ পৃথিবীর কক্ষপথে বেড়াতে যাবে, তারা ঘুরে আসবে চাঁদ ও তারও বাইরের এলাকায়। মহাশুন্য ভ্রমণ ও মহাশুন্য পর্যটন এ শতকেই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হবে। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে যে রোমাঞ্চ অনুভব করে সেরকম রোমাঞ্চ নিয়েই তারা মহাশুন্যের দিকে দিকে ভ্রমণে বেরিয়ে পরবে।

"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।