যা বলবো সত্য বলবো, তবে সব সত্য বলবো না।
মা-কে যারা নিজেদের কাছে রাখে না, বৃদ্ধ বয়সে মা-কে যারা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়, অথবা নিজের কাছ থেকে দূরে কোথাও রাখে, গ্রামের বাড়ি, দূরের কোন আত্মীয়ের বাড়ি, অথবা অন্য কোথাও- পাছে তাদের দাম্পত্য জীবনের সুখ বিনষ্ট হবে, তাদের বিরক্ত করবে ইত্যাদি কারণে মা-কে দূরে রেখে যারা সারাটি বছর পশুত্বের পরিচয় দেয়, তাদের উচিত বছরে একটি দিনের জন্য হলেও মনুষ্যত্বের পরিচয় দেয়া, মায়ের খবরাখবর নেয়া, তাকে উপহার-উপঢৌকন দেয়া ইত্যাদি। পক্ষান্তরে যারা মুসলমান বা যারা মুসলমানের ন্যায় মা-কে নিজেদের কাছে রাখে, তাদের সুস্থতা-অসুস্থতার প্রতিনিয়ত খবর নেয়, তাদের শ্রদ্ধা ও মহব্বত করে, তাদের বছরের বিশেষ কোন দিনে মাকে দেয়ার কিছু থাকে না। তাদের কাছে বছরের প্রতিটি দিনই মা-দিবস, যাবত মা বেচে আছেন। তাই বছরের তিনশত চৌষট্টি দিন মায়ের সাথে পশুর ন্যায় আচরণ করে একটি মাত্র দিনে তার সাথে মনুষ্যত্বের পরিচয় দেয়ার জন্য মা-দিবস পালন করাকে আমরা ঘেন্না করি। আসুন আমরা মুসলমান হই, ইসলামি নির্দেশনা মোতাবেক নিজেদের জীবন গড়ি, তাহলে যেমন আমাদের মায়েরা সুখী হবে, তেমনি সুখী হবো আমরা মা অথবা বাবা হিসেবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।