গ্রামের নাম ফরদি। গ্রামটিকে সবাই ফুলের গ্রাম ফরদি বলেই চেনে। সোনারগাঁর শীতলক্ষ্যার কোল ঘেঁষে এর অবস্থান। চোখ ফেললেই কেবল ফুল আর ফুল। এখানকার ফুল রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব প্রান্তের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
এমনকি ফরদি গ্রামের চাষকৃত ফুল কয়েকটি দেশে রপ্তানিও করা হয়। এতে যেমন কৃষকের লাভ বেড়েছে তেমনি অনদিকে বেড়েছে দেশের সুনাম। সরকারও লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় চাষীদের ব্যস্ততা খুব বেড়ে যায়।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস।
দিনটিকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে সোনারগাঁয়ের ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীদের। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছে ফুল কিনতে। ফুলচাষী কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, কাঠবেলী ফুলের চাষ বেশি হয়ে থাকে। কারণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও ভালোবাসা দিবসে এর চাহিদা থাকে। আর এ কারণে এই ফুল চাষের প্রতি চাষীদের আগ্রহ বেশি।
গ্ল্যাডিওলাস ফুল এক বিঘা জমিতে চাষ করা হলে প্রায় আট হাজার স্টিক পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে ডালিয়া, জিপসি, আলমেন্দা, গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলের চাষ করা হয়। তিনি আরও জানান, এখানকার আবাদকৃত ফুল ঢাকার শাহবাগে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে।
স্থানীয় কৃষক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে ডালিয়া ফুল চাষ করেছি। এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি।
এখনও জমিতে যে পরিমান ফুল রয়েছে তাতে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আসবে। তিনি বলেন, ফুল চাষ করে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছি তেমনি এর মাধ্যমে আরও অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা রবি শস্য চাষ করে যা পান তার থেকে আট দশগুণ বেশি লাভবান হচ্ছেন ফুল চাষ করে। এ কারণে অনেকেই বাপ-দাদার আদিম চাষ পরিবর্তন করে ফুল চাষের প্রতি ঝুঁকেছেন। আর এতে লাভও হচ্ছে।
অপরদিকে কৃষকরা অভিযোগের সুরে বলেন, কৃষি কর্মকর্তরা রবি ফসলের দিকে নজরদারি দিলেও ফুল চাষে তারা কৃষকদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ফরদি গ্রামে এ বছর পায় ১০০ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করা হয়েছে। ৫০ জন কৃষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
সোনরগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুরাদুল ইসলাম জানান, এ উপজেলায় প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন অন্যদিকে বেকারত্বও কমছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।