তক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ক্লিনিক্যাল ফার্মেসী এন্ড ফার্মাকোলজী বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন। গতকাল ইউজিসি মিলনায়তনে এক আড়ম্বরপূর্ণ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ চৌধুরী বলেন, উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে তিনি কোনো ধরনের আপোষ করবেন না বলে জানান। পাবলিক ও প্রাইভেট কোন বিশ্ববিদ্যালয়কেই ছাড় দেয়া হবে না। গুণগতমান নিশ্চিতের সঙ্গে গবেষণার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষ শিক্ষক গঠনে বৃত্তি চালু করা হবে।
বিদায়ী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিলাসী জীবন যাপনের সমালোচনা করে বলেছেন, আমরা শিক্ষকতা থেকেই ইউজিসির চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে এসেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রাসাদ দেখে অভিভূত হয়ে যাই, মনে হয় এসব প্রসাদে ফেরাউন বাদশারা থাকেন।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ডেভলপমেন্ট অলটারনেটিভ-এর ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক হাফিজ জি এ সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ইউজিসির সদস্যরা নতুন ও বিদায়ী চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়েছেন।
এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কোনো চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন।
অধ্যাপক আজাদ হলেন ইউজিসির ১১তম চেয়ারম্যান। তবে ইউজিসির চেয়ারম্যানের এই মর্যাদা স্থায়ী নয় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অধ্যাপক আজাদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই মর্যাদা শুধু আমাকেই দিয়েছেন। এটা স্থায়ী নয় এবং পরবর্তী অন্য কোন চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে পরবর্তীতে অন্যদের ক্ষেত্রেও প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা স্থায়ী করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হবে।
অধ্যাপক আজাদ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন। মূল লেখা : আমাদের সময় এর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।