..............................
আমারা বন্ধুমহলে নিজিদেরকে নিজেরা নানা নাম দিয়ে থাকি। সেরকম আমার বন্ধুদের ও আড্ডায় নানা নামে তৈরী হয়। ওদের নামকরনের সার্থকতা কতটুকু জানিনা তবে নামের উৎপত্তিটা বলতে পারি-
০১. বিবিসি : আমার বন্ধু রবিউল যার কোন কিছুই পেটে থাকেনা। কেউ কিছু একটা বললেই সবার কাছে বলে দেয় এ কারণে কেউ কিছু ওকে বলতে চায়না। আর যদি ভুলবশত বলে ফেলে তাহলেই হয়েছে পুরো দুনিয়াকে ও জানিয়ে দিবে তাই ওর নাম দেয়া হয়েছিল বিবিসি।
০২. ঝনঝইন্যা: কথিত আছে এ বন্ধুটির জন্মের সময় ওর নানী ভুল করে মধুর জায়গায় কুইনাইন খাওয়াই দিছিল যার কারণে তার কথায় কোনো মধু নাই । যে যা কিছু বলবে সে সবসময় তার এগিনেষ্টে বলবে আর যখন বলা শুরু করে আর কাউকে বলতে দিবেনা।
০৩. পেন্টিয়াম আধা: ইনি খুবি পন্ডিত তবে সবসময় সবকিছু একটু দেরিতে বুঝেন এবং যেকোন কিছু করতে খুব সময় নেন। হয়ত কার্ড খেলতে বসছি সবাই কার্ড ফেলে বসে আছি আর ওকে দশবার বলার পর বলবে কি খেলা হচ্ছে।
০৪. শিন্নি: এ বন্ধুটি মিষ্টিজাতীয় জিনিস খুব পছন্দ করে বিশেষ করে পায়েস কিন্তু ঠিক বলতে পারবোনা ওর নামটা পায়েস না হয়ে শিন্নি হলো কেমন করে।
০৫. আটা: এ বেচারার জন্য দু:খ হয়। কত সুন্দর নাম রুবেল কিন্তু বাপের আটা ময়দার মিল থাকার কারণে বেচারার নামটাও আটা হই গেল, ওকে আটা ছাডা আসল নামে কেউ ডাকছে এটা আমার মনে পড়েনা ।
০৬. সুমি: আমার এ বন্ধুটি খুবি শান্তশিষ্ট আর লাজুক তার প্রতিদান সরূপ তাকে তার ডাকনাম (মাসুম) এর সাথে মিল রেখে সুমি ডাকা শুরু হল।
০৭. বিলাই রাসেল: এ বন্দুটির চোখের রং বিডালের চোখের মত আর ওখান থেকেই ওর নামের সামনে বিলাই জুড়ে দেয়া হয়।
০৮. সুপারি: রাজিব খুব সুইট একটা ছেলে কিন্তু একসময় ওর বাবার নাকি সুপারির আড়ত ছিল তাই ওর নাম হয়ে গেল সুপারি।
০৯. বোটকা মিশু: এ বন্ধুটির নামকরন টা একবারি সার্থক। কলেজে পড়ার সময় থেকেই ও বিশাল দেহের অধিকারী ছিল আর এখন তো ও ওঠলে ঐ রিক্সায় আর জায়গা থাকেনা।
১০. টনিক: এই বন্ধুটি আর আমরা যে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতাম সে দোকানের ছেলেটার একিই নাম ছিল জাহাঙ্গির। আর এটা নিয়ে সবাই ওকে ক্ষেপাত ও আসলেই হুদাই চিল্লাইত এই জাহাঙ্গির চা নিয়ে আয়। এই বিরক্তি থেকে বাচতে সে নাম পরিবর্তন করে রাখল অনিক কিন্তু বিধাতা বাম।
এতে ও রক্ষা হলনা সবাই ওকে টনিক ডাকা শুরু করল।
১১. বাকসা ভাই: আমার এই বন্ধুটি জব্বর নামের অধিকারি রিয়াজ উদ্দিন বাদশা। চায়ের দোকানের ছেলেটার উচ্চারনে সমস্যার কারণে ওকে বাকসা ভাই বলত। আর আস্তে আস্তে আমরা সবাইও বলা শুরু করলাম। আর আমি একটু আধুনিক করে বক্স ডাকি।
১২. সরপুটি: কলেজে আমাদের ক্লাশের সবচেয়ে চটপটে মেয়েটির নাম চামেলি। সবকিছুতেই একটু লাফালাফি বেশি করত। তাই সবাই ওর নাম দেয়া হয়েছিল পুটি। কিন্তু এ নামে তার ঘোর আপত্তি তাকে নাকি অপমান করা হয়েছে নাম রাখছি যখন বড়সড় দেখে রাখা উচিত ছিল। তখন আমরাও নামটাকে একটু বড় করে সরপুটি করে ফেলি।
১৩. টিকটিকি: ইনি ছিলেন খুবি ইস্মাট সাইজে ছোটোখাটো হলেও ছেলেদের পকেট খালি করাতে ওস্তাদ ছিলেন। কলেজের আশেপাশের ফাস্টফুড় গুলোতেই বেশি আড্ডা দিতে পছন্দ করতেন। সেজন্য আমরা আড্ডায় উনাকে কম সময়ের জন্য পেতাম। তার ছোটখাটো সাইজের জন্য সবাই আডালে টিকটিকি ডাকতাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।