আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে'র সার্ধশত জন্ম বার্ষিকী"



পূর্ব প্রকাশিতর পর....। "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পে নারীদের স্বাতন্ত্রবোধ" স্ত্রীর পত্র :- এই গল্পের প্রধান চরিত্র মৃণাল-ই রবীন্দ্রনাথের নারী চরিত্রের মধ্য সবচেয়ে প্রতিবাদী বলা যায়। সমাজে একজন নারীর অবস্হান যে কতটা নীচে তা মণালের প্রতিবাদের মাধ্যমে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। মৃণালের ভাসুরের বউ'এর সৎ বোন-বিন্দু যখন তার বোনের বাসায় আশ্রয় নেয়, তখন বোন তাকে আশ্রয় না দিলেও মৃণাল ঠিক-ই তাকে বুকে তুলে নেয়। সন্তানের মতো।

কেন না মৃণালের বোঝার ক্ষমতা অসীম। কিন্তু তার শ্বশুর বাড়ির লোক এমন কি মৃণালের স্বামীও পছন্দ করে না। শেষে ঘরের লোকরা চালাকি করে বিণ্দু কে এক পাগলের সাথে বিয়ে দেয়। অবশেষে বিন্দু পালিয়ের আসতে সক্ষম হলেও আবার জোর করে সেখানেই পাঠানো হয় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে সে আগুণ লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

এটি মৃণাল মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বামী উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে কাশী চলে যায়। তাতে লেখা ছিল, "আমি আর তোমাদের সাতাশ নং- মাখন বড়ালের গলিতে ফিরবো না। আমি বিন্দুকে দেখেছি, সংসারের মাঝখানে মেয়ে মানুষের পরিচয়টা যে কি --তা আমি পেয়েছি। আর আমার দরকার নেই, তোমাদের গলিকে আর আমি ভয় করিনে।

আমার সমুখে আজ নীল সমূদ্র। আমার মাথার উপরে আষাঢের মেঘ-পুঞ্জ"। । সমাপ্তি :- সমাপ্তি গল্পটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম রোমান্টিক গল্প। এখানে একটি গ্রাম্য দস্যি লাস্য-ময়ী চঞ্চল অবুঝ কিশোরী বালিকার ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ একজন রমণী হওয়ার কাহিনী বিবৃত হয়েছে।

কলিকাতা থেকে ধনীর দুলাল অপূর্ব কৃষণ' বি. এ. পাশ করে গ্রামে আসে এসেই রাস্তায় মৃন্ময়ী নামের সেই দস্যি মেয়ের কবলে পড়ে অপদস্ত হয়। তথাপি মৃন্ময়ীর এই বালক সুলভ আচরণই অপূ্র্বকে টানে। সে তার মা কে অনেক বুঝিয়ে মৃন্ময়ী কে বিয়ে করে। কিন্তু মৃন্ময়ীর মন তো মানে না। সে অপূর্বকে মানে নিতে পারে না।

বিয়ে কি! ভালোবাসা কি! তখনো সে তা বুঝে না। এক পর্যায়ে অপূর্ব তাকে প্রেমের পাঠ শিখাতে ব্যর্থ হয়ে অভিমানে কলিকাতা চলে যায়। এরপর থেকেই তো মৃন্ময়ীর কোনো কিছুতে মোন আর বসে না। সময় ার কাটে না। সে যানো পরিপূর্ণ প্রেম বিরহ কাতুরা একজন রমণী হয়ে উঠে।

সে পরিতাপে, লজ্জায় ধিক্কারে পীড়িত হতে লাগলো। চুম্বনের এবং সোহাগের রীণ' অপূ্র্বের মাথার বালিশে উপর পরিশোধ করতে থাকে। এক পর্যায়ে থাকতে না পেরে শ্বাশুড়ী তাকে নিয়ে কলিকাতা রওয়ানা দেয়। অপূর্ব তা জানতো না। অপূর্ব আধাঁরে ঘরে ঢোকে আর মৃন্ময়ী তাকে সুকঠিন বন্ধনে বেঁধে এবং অঝোরে চুম্বন বর্ষণ করতে থাকে।

। ---------০--------

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.