পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে প্রাণের ভয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের জামাতে ইসলামির সর্বোচ্চ নেতা মতিউর রহমান নিজামি।
যুদ্ধাপরাধের আসামি হিসেবে গ্রেফতার নিজামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত দল বৃহস্পতিবার জেরা করেছে। সেই দলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তখনই তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে 'আল বদর' ও 'আল শামস' -এর মতো রাজাকার বাহিনী গড়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তার সাফাই, এই কাজ না করলে পাক সেনারা তাঁকে হত্যা করত।
যুদ্ধাপরাধের আসামি হিসেবে নিজামি-সহ জামাতে ইসলামির পাঁচ শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সরকার। আদালতের অনুমোদন নিয়েই বৃহস্পতিবার সারাদিন নিজামিকে জেরা করে। গণহত্যার বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ্স ও দলিল তাঁকে দেখানো হয়। তদন্ত দলের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জামাতের এই আমির গণহত্যার সংগে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করলেও নানা ভাবে পাকিস্তান বাহিনীকে সাহায্য কারার কথা স্বীকার করেছেন। তবে জানিয়েছেন সেটা নেহতই প্রাণের দায়ে।
নিজামির দাবি, তিনি পাকিস্তানকে সাহায্য না করলে তাঁকেও হত্যা করত পাক বাহিনী। ঐ কর্মকর্তা জানান, তদন্ত দলের প্শ্নের জবাব না দেওয়ার কৌশলই মূলত নিয়েছিলেন নিজামি। কখনো বলেন, ৪০ বছর আগের কোনও কথাই এখন আর মনে নেই। তবে গণহত্যার ছবীদেখে যে কোনও মানুষের মতো তিনিও স্বীকার করেছেন, এ সব না হলেই ভাল হত। নিজামির দাবি তিনি এ ধরবের ঘটনার সাথে কোনোদিনও জড়িত ছিলেন না।
চট্রগ্রামে ধরা পড়া আলফার জন্য পাঠানো ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেও সম্প্রতি আসামি করা হয় নিজামিকে। শিল্প দফতরের জেটিতেই জাহাজ থেকে অস্ত্রগুলি খালাস করা হয়েছিল। নিজামি সেই সময়ে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। অভিযোগ, তার নির্দেশেই এই কাজ করা হয়। এদিন নিজামির আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল কোনও কথাই বলেননি।
তবে তাঁর মুখ থেকে কথা বার করতে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে জেরাও করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।