কিছু বন্ধুকে ধন্যবাদ দিতেই এই লেখা। প্রথমেই বলে নেই; বন্ধুত্ব কিন্তু শুধু বয়স কেন্দ্রিক নয়। আমার কয়েকজন বন্ধু আছে যাদের কিছু কথা বলবো বলবো করা বলা হচ্ছে না। তাদের বেশির ভাগের সাথে পরিচয় মসজিদে।
যারা দুপুরে স্কুল ছুটি হওয়ার পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসে আসল বন্ধুর (আল্লাহর) সাথে আড্ডা (নামাজ মুমিনদের জন্য মেরাজ স্বরূপ) দিতে।
যারা বিকালে ১০ মিনিট বেশি না খেলে বা খেলার তীব্র আকর্ষনকে পিছনে ফেলে মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে;
সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি পড়তে বসা ও পড়ার সময় নষ্ট না করার চাইতে মাগরিবের নামাজে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে পড়াশোনায় বরকত কামনা করে পড়া শুরু করাকেই প্রাধান্য দেয়;
আবার পড়ায় মনোযোগের চুড়ান্ত মুহুর্তেও ৩০ টি মিনিট বরাদ্দ রাখে মসজিদে গিয়ে ঈশার নামাজ পড়ে, মাথাটা কিছুটা ঠান্ডা করে বন্ধুদের খোজ খবর নেওয়ার জন্য।
কেউ কেউ ছোট্ট হাতটি বাবার হাতের মধ্যে ঢুকিয়ে, মায়ের প্রশান্ত মুখ দেখে চলে আসে মসজিদে! আর বাবাকে করে তোলে দুনিয়ার অন্যতম সুখি একজন মানুষ, আমিও আনন্দ পাই।
কেউ কেউ আবার "ঘুম থেকে নামাজ উত্তম" কথাটিরও বাস্তব প্রয়োগ ঘটায় ফজরের নামাজে এসে!!!
কিছু আসে শুধু জুম্মার নামাজে। উপরে বা কোনায় বসে দুষ্টামি করে। করুক না!!! ছোটদের কাজ হলো আনন্দ করা, একটু দুষ্টামি করা আর বড়দের কাজ হলো ধৈর্য্য ধরা।
যেসব তথাকথিত বড়রা তাদের মাত্রাতিক্ত শাসন করতে চায় তাদের প্রতি আমার করুনা হয় যে তারা না আবার শাসনের মাধ্যমে ছোটদের মসজিদ বিমুখ করে ফেলে!! যাই করুক তারা তো মসজদে আসছে। আপনারা মসজিদকে "জীবন্ত" করতে না পরলেও তারাই মসজিদটাকে জীবন্ত রাখছে। ।
যাই হোক, সেই সকল ছোট বন্ধুদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও ধন্যবাদ রইলো...তাদের সবসময় আদর করতে, উপহার দিতে ও কাছে পেতে ইচ্ছা করে। ছোট-খাট আবদার শুনতে ইচ্ছা করে।
প্রানের বন্ধু হতে ইচ্ছা করে।
মাঝে মাঝে ক্লাসমেট বন্ধুরা অবাক হতো আর বলতো, তুই তো বিড়ি খাস না, মোবাইলে টাঙ্কি মারিস না। করিস কি? কত টাকা জমাইছোস? এত টাকা জমাইয়া কি করবি? তখন মিটিমিটি হাসতাম!! আমি যে ব্যয় করার আসল পন্থা জানি!!! মাঝে মাঝে এই সব ছোট বন্ধুদের জন্য ব্যয় করি যদিও মন মত হয় না তাও চেষ্টার ত্রুটি রাখি না।
তাই তোমাদের সকল আবদার (ভাঙ্গাইয়া খাওয়ার, পকেট কাটার) মেটানোর সাধ্যমত চেষ্টায় আছি।
ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।