ঘুমহীন
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সাতক্ষীরা: আট বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত।
বুধবার সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এফএম রেজানুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনের সাজা ছাড়াও আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি খন্দকার অমেদ আলী (৬৫) পলাতক রয়েছে।
সে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর সকালে খাবার কিনে দেওয়ার নাম করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ৮ বছর বয়সের মেয়েকে প্রতিবেশী খন্দকার অমেদ আলী তার বাড়ীতে নিয়ে যায়।
নিজের ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অমেদ।
পরে খবরে পেয়ে মা জোহরা খাতুন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি একটি মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হক ধর্ষক অমেদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
এদিকে আসামি অমেদ দীর্ঘ দিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদা আক্তার বানু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।