পরিচয় দিতে আগ্রহী নই।
আচ্ছা, মানুষ মারা যাবার পর তার কি হয়?
রাত ২ টা ২০ মিনিটে হাসানের কেন এ চিন্তা এলো তা কে জানে। বাড়িতে বড় কেউ থাকলে নির্ঘাত বলত যে ছেলেকে শয়তান ধোকা দিচ্ছে। তবে বাস্তব মেনে নিয়ে এ উপসংহারে আসা যায় যে বিগত তিন রাত না ঘুমানোর ফলে তার মাথায় এ চিন্তার আগমন। তবে ২৬ বছর বয়সী এ নবীন অবিবাহিত একাকি যুবকের মাথায় এখন এ একটাই চিন্তা কাজ করছে।
হাসান আর যাই হোক পাগল নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেনীতে অনার্স করা সে। লেখক হিসেবে সে সুপরিচিত। তার বইয়ের ভালো কাটতি হয়। তবে এটা বলে রাখা ভালো যে উপরওয়ালার প্রতি তার বিশ্বাস যথেস্ট কম।
তাই বলে এরকম আজব চিন্তা তার মাথায় আসতো না। আজ দুপুরে সংসদ ভবনের সামনে তার সামনে এক এক্সিডেন্ট ঘটে। এক ৮ বছেরের শিশুকে তার চোখের সামনে গাড়িচাপা দেয়। শিশুটি ঘটনাস্থলে মারা যায়। এরকম ঘটনা দেখার পর হতে তার মাথায় এ অদ্ভুত চিন্তা কাজ করছে।
“আচ্ছা,মানুষ মারা গেলে কি বেহেশতে যায়? স্বর্গে যায়? কি হয় আসলে? নাকি আত্মা হয়ে ঘোরা ফেরা করে?”
“এর জবাব কেই বা দিতে পারবে? আমরা এখনো তো এর জবাব পাই নি। বিজ্ঞান আমাদের সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারলেও এর জবাব এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে। "
ছাত্র থাকা অবস্থায় হাসান ব্যাবহারিক কাজে বেশি পারর্দশী ছিলো। সে সকল বিষয়কে ব্যাবহারিক দিকে নিয়ে যাওয়া পছন্দ করতো। এবং এ ধারাকে মেনে ঠিক ২ টা ২৫ মিনিটে সে একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হলো।
হাসানের আত্মভোলা বাড়িওয়ালা কখনো ছাদের দরজাটা লাগায় না। আর ভাড়াটে রা অভিযোগ করা সত্তেও সে ছাদে রেলিং দেয় নাই। মেসের বাসিন্দারা আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। তাই নিচ তালা হতে মেসের অন্যদেরকে না জাগিয়ে হাসানের পাচ তালার ছাদে আসতে খুব বেশি সময় লাগলো না।
হাসান এখন ছাদের একেবারে কোনায় দাড়ানো।
নিচে কি আছে এ বিষয়ে তার চিন্তা নেই। তার এ প্রশ্নের জবাব পেতেই হবে। এবং সকল অসম্ভব কে সম্ভব করে সে সামনের দিকে পা বাড়ালো।
আচ্ছা, মানুষ মারা যাবার পর তার কি হয়?
রাত ২ টা ২০ মিনিটে হাসানের কেন এ চিন্তা এলো তা কে জানে। বাড়িতে বড় কেউ থাকলে নির্ঘাত বলত যে ছেলেকে শয়তান ধোকা দিচ্ছে।
তবে বাস্তব মেনে নিয়ে এ উপসংহারে আসা যায় যে বিগত তিন রাত না ঘুমানোর ফলে তার মাথায় এ চিন্তার আগমন। তবে ২৬ বছর বয়সী এ নবীন অবিবাহিত একাকি যুবকের মাথায় এখন এ একটাই চিন্তা কাজ করছে।
2/5/2011
Faysal Ahmed
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।