আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনের মধ্যে মনের মানুষ রবীন্দ্রনাথ

বাংলাদেশকে একটি সৃজনশীল জাতি হিসাবে দেখতে চাই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যাঁর চোখমূখের উজ্জ্বলতায় আমাদের করো তোলো উদ্জীবিত। কবিতা, গানে,গল্পে,উপন্যাসে, চিত্রকলায় কিংবা প্রবন্ধে। কোথায় নেই রবীন্দ্রনাথ। আমাদের মনে, প্রাণে ।

আছে আনন্দ-উত্সবে, দুখে-শোকে সব খানে মিশে থাকার শব্দটার নামেই রবীন্দ্রনাথ। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের চেয়ে বড় ধর্ম আর নেই। তিনি তাঁর মানুষের ধর্ম গ্রন্থে বলেছেন—‘ঋজু হয়ে চলতে গিয়ে প্রতি মুহুতেই মানুষকে ভারাকর্ষণের বিরুদ্ধে মান বাঁচিয়ে চলতে হয়। পশুর মতো চলতে গেলে তা করতে হত না। মনুষ্যত্ব বািঁচয়ে চলাতেও তার নিয়ত চেষ্ঠা, পদে পদেই নীচে পড়বার শঙ্কা।

এই মনুষ্যত্ব বাঁচানোর দ্বন্দ্ব মানবধর্মের সঙ্গে পশুধর্মের দ্বন্দ্ব, অর্থ্যাত্ আদর্শের সঙ্গে বাস্তবের। মানুষের ইতিহাসে এই পশুও আদিম। সে টানছে তামসিকতায়,মূঢ়তার দিকে। পশু বলছে,‘সহজধর্মের পথে ভোগ করো। ’ মানুষ বলছে,‘মানবধর্মের দিকে তপস্যা করো।

’যাদের মন মন্থর-যারা বলে,যা আছে তাই ভালো,যা হয়ে গেছে তাই শ্রেষ্ঠ,তারা রইল জন্মধর্মে স্থাবর বেড়াটার মধ্যে, তারা মুক্ত নয়,তারা স্বভাব থেকে ভ্রষ্ট। তারা পূর্বসঞ্চিত ঐশ্বর্যকে বিকৃত করে, নষ্ট করে। ’ তিনি বুঝাতে চেয়েছেন মনুষ্যত্ব তপস্যাকে মানুষের উত্কৃষ্ট ধর্ম । তাঁর কথা হলো—‘ মানুষের একটা দিক আছে যেখানে বিষয়বুদ্ধি নিয়ে সে আপন সিদ্ধি খোঁজে। সেইখানে আপন ব্যক্তিগত জীবনযাত্রানির্বাহে তার জ্ঞান, তার কর্ম,তার রচনাশক্তি একান্ত ব্যাপৃত।

সেখানে সে জীবরুপে বাঁচতে চায়। কিন্তু মানুষের আর একটা দিক আছে যা এই ব্যক্তিগত বৈষয়িকতার বাইরে। সেখানে জীবনযাত্রার আদর্শে যাকে বলি ক্ষতি তাই লাভ, যাকে বলি মৃত্যু সেই অমরতা। সেখানে বর্তমান কালের জন্যে বস্ত সংগ্রহ করার চেয়ে অনিশ্চিত কালের উদ্দেশে আত্মত্যাগ করার মূল্য বেশি। সেখানে জ্ঞান উপস্থিত—প্রয়োজনের সীমা পেরিয়ে যায়, কর্ম স্বার্থের প্রবর্তনাকে অস্বীকার করে।

সেখানে আপন স্তন্ত্র জীবনের চেয়ে যে বড়ো জীবন সেই জীবনে মানুষ বাঁচতে চায়। ’ ‘স্বার্থ আমাদের যে সব প্রয়াসের দিকে ঠেলে নিয়ে যায় তার মূল প্রেরণা দেখি জীবপ্রকৃতিতে: যা আমাদের ত্যাগের দিকে, তপস্যার দিকে নিয়ে যায় তাকেই বলি মনুষ্যত্ব, মানুষের ধর্ম। ’ ২. রবীন্দ্রনাথ মনের মধ্যে ঠাঁই করে নেন প্রত্যেক মানুষের জীবনে সেই ছোটবেলায়। যখন থেকে প্রাণভরে গাইতে শিখেছি—‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোয়ায় ভালোবাসি। ’ তারপর নানাভাবে সূর্যের তীব্র কিরণের মতো উঁকি দেয় রবীন্দ্রনাথ।

কলেজে পড়ার সময় আমার এক স্যার মানুষের জীবনদর্শন নিয়ে কথা বলছিলেন তখন স্যার রবীন্দ্রনাথের শেষবেলার একটা কবিতার তিনটা লাইন উচ্চারণ করেছিলেন। আর সেই কবিতার তিনটা লাইন হয়ে উঠে আমার আদর্শ। মনের প্রেরণার সঙ্গী। বদলের হাতিয়ার। তখন থেকে মনের মধ্যে মনের মানুষ শুধুই রবীন্দ্রনাথ।

কবিতার তিনটা লাইন হলো— ‘সত্যে যে কঠিন কঠিনেরে ভালোবাসিলাম যে কখনো করে না বঞ্চনা। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.