আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিকের ডুবে যাওয়াঃ ৯৯ বছর আগের ঘটনা নূতন করে

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল টাইটানিকের ডুবে যাওয়াঃ আগামী বছর টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার ১০০ বছর পূর্তি হবে। এক বছর আগে ঘটনাটি স্মরণ করিয়ে দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না। যদি আগামী বছর আপনাদের সাথে থাকা না হয়! ইংল্যান্ডের হোয়াইট স্টার লাইন সংস্থা নির্মাণ করেছিলেন একসময় কার পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল টাইটানিক। লম্বায় ৮৮২ ফুট লম্বা এই টাইটানিক জাহাজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল তৎকালীন ২০ কোটি ডলার। জাহাজটির প্রথম শ্রেণীর লাউঞ্জটির ডিজাইন করা হয়েছিল ভার্সেইলেস প্রাসাদের ডিজাইনের অনুসরণে।

বৃহদাকার এই জাহাজের রাডারটি ছিল ১০১ টন ওজনের যা ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জাহাজ সান্তামারিয়ার পুরো ওজনের চেয়ে ভারী। আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে জাহাজটি যখন উন্মুক্ত করা হয় তখন এক দুর্ঘটনা দিয়ে জাহাজটির যাত্রা শুরু। এ দুর্ঘটনায় একজন শিপইয়ার্ড শ্রমিক মারা যায়। জাহাজটি নির্মাণের পর প্রথমবারের মত ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল ইংল্যান্ডে সাদাম্পটন বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বন্দরের দিকে যাত্রা করে। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২৩ নটিক্যাল মাইল।

জাহাজটিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ২২২৪ জন। প্রথম শ্রেণীর প্রতিটি টিকেটের মূল্য ছিল ৩,১০০ ডলার। বর্তমানে যার মূল্য দাঁড়ায় ১ লাখ চব্বিশ হাজার ডলার। যাত্রীদের খাদ্য হিসেবে প্রায় এক লাখ পাউন্ড মাংস ছিল। যাত্রা করার সাথে সাথে যাত্রীবাহী আরেক জাহাজ নিউইয়র্ক সিটির সাথে টাইটানিকের প্রায় ধাক্কা লেগে যাচ্ছিল।

কোনরকম সংঘর্ষ ছাড়াই এড়িয়ে গেল। কিন্তু ১৪ এপ্রিল মাঝরাতে একটি হিমশৈলের ধাক্কা কোনমতে এড়াতে পারেনি। জাহাজটি আটলান্টিকের হিমশীতল অথৈ পানির নিচে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা কমানোর জন্য টাইটানিকের ১৬টি ওয়াটার টাইট কম্পার্টমেন্ট ছিল। কিন্তু ভাসমান হিমশৈল আইসবার্গ ১৬টির মধ্যে পাঁচটি ধ্বংস সাধন করে যা পুরো জাহাজটিকে বরফশীতল পানিতে ডোবানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।

জাহাজটি আগেই অগণিত বার্তা পেয়েছিল যে, সামনে সমুদ্রে ভাসমান ‘হিমশৈল বা আইসবার্গ’ রয়েছে। এসব বার্তার উপর ভ্রূক্ষেপ না করে জাহাজটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। জাহাজটি যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের রক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের মধ্য থেকে নারী ও শিশুদের লাইফ বোটে উঠার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিল। দুঃখের বিষয় প্রথমদিকে বেশিরভাগ প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা অত্যাধিক ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য বাইরে বের হতে চাননি। প্রথম লাইফ বোটে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৬৫ হওয়া সত্ত্বেও তাতে মাত্র ২৮ জন যাত্রী উঠেছিল।

লাইফ বোটগুলোর মধ্যে যেগুলো টাইটানিক ডোবার আগে নিচে নামানো হয়েছিল তার শুধুমাত্র একটি পুনরায় যাত্রী উদ্ধারে ফিরে আসে। যদিও লাইফ বোটগুলো ধারণক্ষমতার চেয়ে যাত্রী বহন করেছিল কম। টাইটানিকে নাবিক ও অন্যান্য কর্মচারীরা তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের উদ্ধার করা দূরে থাক তাদের বের হওয়ার জায়গাটি রোধ করে রেখেছিল। যেন যাত্রীরা ডেক বা পাটাতনে ফিরে আসতে না পারে। যখন টাইটানিক গভীর সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিল তখন একটি বাদক দল উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের শান্ত করার জন্য সঙ্গীত পরিবেশন করে।

অনেক যাত্রী একথা বিশ্বাসই করতে চাননি যে, টাইটানিক সত্যি সত্যি ডুবে যাচ্ছে। টাইটানিক যখন আইসবার্গকে আঘাত হানে তখন অনেক যাত্রী ডেক বা পাটাতনের ওপর বরফ নিয়ে খেলা করছিল। জাহাজটি সম্পূর্ণ ডোবার আগে পুরো দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। জাহাজটি যখন ডুবে যাচ্ছিল তখন একটি অজানা রহস্যময় জাহাজ টাইটানিকের খানিক দূর থেকে যাচ্ছিল। টাইটানিক বিপদসংকেত বা ডিসট্রোস সিগন্যাল দিলেও তারা সাড়া দেয়নি।

টাইটানিক যখন আটলান্টিকের গভীরে ডুবে যাচ্ছিল তখন জাহাজটি ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে চলে গেল। টাইটানিক থেকে বিপদসংকেত শুনে কার্পথিয়া নামের একটি সমুদ্রগামী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। দুর্ভাগ্যজনক তা জাহাজটি ডোবার দু’ঘন্টা পরে। সেদিন জাহাজে থাকা ২,২২৪ জন যাত্রীর মধ্য থেকে ১৫১৩ জন যাত্রী মারা যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৌ দুর্ঘটনা এটাই।

যা আজও ইতিহাস হয়ে রয়েছে। The Titanic sank on the night of April 14, 1912 after striking an iceberg in the North Atlantic. Within minutes of colliding, water began pouring into the lower decks. Less than 3 hours later, the propellers started to rise out of the water. More than 1500 people were left on board - for them, there was little hope of escape. . . . লিংকঃ Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.