আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার গেরিলা হওয়া থুক্কু দেখা এবং কিছু হাসি আনন্দ ,দুঃখ বেদনা ,রাগ ক্ষোভের অপ্রাসঙ্গিক কথা ভিতরে ছবিও আছে

ছন্নছাড়া বাঁধনহারা দস্যি একটা ছেলে ,, দিবানিশি ক্যামেরা চালায় আহার নিদ্রা ফেলে :) :)

(পোস্টের মূল বিষয় শেষের দিকে লেখা আছে ,,প্রথম অংশে ছবি ব্লগ ) সকাল বেলা প্রাইভেট পড়তে গিয়ে শুনলাম স্যার পড়াবে না ....। এমনিতেই আজ রাস্তা একদম ফাকা থাকায় সকালে আমি খুব তাড়াতাড়িই পৌছে যায় ফার্মগেট । তারপর কয়েকটা বই কিনবো বলে গেলাম নীলক্ষেত ...। কিন্তু গিয়ে আবার ধরা খাইলাম মে দিবস উপলক্ষ্যে সব দোকানপাট বন্ধ ,,, এমনকি নিউমার্কেটেও কোন দোকান খোলা ছিলো না তারপর হঠাৎ কি মনে হলো .....বলাকা সিনেমা হলের সামনে গিয়ে দেখলাম আজ শো শুরু হবে সকাল ১০ : ৩০ এ তখন গেরিলার পোস্টার দেখে ঢুকে পড়লাম " যাই ছবিটা দেখেই আসি" ...... কিন্তু ভেতরে তেমন লোকজনের আনাগোনা তখনও তেমন দেখলাম না যথারিতি ঢুকে পড়লাম মেইন গেটের পাশের চিপা দিয়ে একেবারে গেরিলা স্টাইলে ...... গেটে দাড়ানো পুলিশ না দারোয়ান আমারে আট্‌কাইবার চাইছিলো মাগার পারে নাই চিপা গেট দিয়ে ঢুকতেই আমারে পিস্তল হাতে ডর দেখাইতে চাইছিলো জয়া আহসান,,কিন্তু পারে নাই ,,, আমার মত একটা সুইট বয় দেইখা পরে একটা ব্যাগ হাতে নিয়া আমার দিকেই আসবার লাগছিলো কিন্তু কপাল খারাপ ওর ছুডু ভাই আমাগো মাঝখানে ইহা বড় এখান অস্ত্র নিয়া বইসা থাকলো । তাই দেখে মআি আবার সামনের দিকে অগ্রসর হলাম .... দেখলাম একটা লোক চুপি চুপি গেরিলার মত করে পোস্টার লাগাচ্ছে দেওয়ালে তারপর গেলাম এইখানে টিকিট কাটার জন্যে .... কিন্তু উপরের লেখা দেখে আর সামনের লোকটাকে দেখে কিছুক্ষণের একটু ডরে ছবি তুলা বন্ধ রাখলাম কখন কি হয়ে যায় বলা তো যায় না টিকিট কাটা শেষে এই পথে পায়চারী করতে করতে নানা রং এর মানুষজন দেখতে লাগলাম একটু পর এদিকে এসে কিছু মানুষ দেখলাম ওয়ালের দিকে চেয়ে কি জেন দেখছে ..... আমিও ওদের সাথে দেখতে শরীক হলাম ...দেখলাম ওখানে..গেরিলা ছবির কিছু কাটপিস . এরপর সামনে গিয়ে দেখি এক গেটম্যান ,,, বিরাট ফুটবল মাঠ মাথায় নিয়ে স্টাইল করে ভুড়ি উচু করে দাড়িয়ে আছে ছবি তুলা দেখে লোকটার বেশ ভাল লাগলো মনে হলো .....।

তাকে ছবিটা দেখাইলাম যখন ,,, খুশিতে যে সুন্দর একখান হাসি দিলো , পুরা ঝাক্কাস তারপর সময় ঘনিয়ে এলো .... ১০:২০ এ এই দরজা বনা গেট ডিয়ে প্রবেশ করলাম অন্দর মহলে এবার আসি ছবির কথায় : : ছবিটা দেখে অবার অল মোটামুটি ভাল লাগলেও ,, কেমন যেন খাপছাড়া খাপছাড়া ভাব লক্ষ্য করলাম ,,, মুক্তি যুদ্ধের উপর নির্মিত সব ছবিই সম্ভবত দেখে ফেলেছি ,, তাই সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি ছবিটা কেমন যেন অন্যরকম .... তবে একটা জিনিস বেশ ভাল করেছে , তা হলো তখনকার রাজাকার পাঞ্জাবিওয়ালা জমায়েত ইসলামী ও পাকিস্তানের দোসরদের অমানবিক অত্যাচারের কিছু বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন পরিচালক খুব সুন্দর ও ভয়ঙ্কর ভাবে । আমি মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান হিসেবে তখনকার অনেক লোমহর্ষক কাহিনীর সাথেই একটু হলেও পরিচিত । তাই বুঝতে অসুবিধা হয়নি । কারণ আমাদের বাড়িতেই প্রায় প্রতি রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হতো .. যেমনটি দেখা যায় ছবিতে শেষ দৃশ্যের কিছু আগে নায়িকার ভাই এর বাহিনী নিয়ে এক বাড়িতে সবাই এক সাথে বসে খাওয়ার দৃশ্য .....। রাজাকারদের এর থেকেও অমানবিক ও নিকৃষ্টতম সাজা দেওয়া উচিৎ ।

এটিএম শামসুজ্জামানের ঐ চড়টা আমার অনেক দিন মনে থাকবে । আর কচি খন্দকারের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সময়কার সংলাপগুলো । জয়া আহসান অনেক ভাল অভিনয় করেছেন ,,, সত্যিই প্রশংসনীয় এক কথায় অসাধারণ ..। আমি রিভিউ লিখতে পারি না ,,ভাল কথাও গুছিয়ে লিখতে পারি না । তাই এই বিষয়ে আর কিছু বলছি না ..... তবে একটা জিনিস বেশ খারাপ লাগলো ...... এক নব্য রাজাকার এসেছিলো ছবি দেখতে .মুখে এক পাজা দাড়ি গায়ে পাঞ্জাবি আর ... তার গার্লফ্রেন্ড সাথে নিয়ে ..।

সেই শালা রাজাকারের বাচ্চা ছবি না থেকে সারাক্ষণ তার গার্লফ্রেন্ডের দেহ এক্সপ্লোর করায় ব্যাস্ত ছিলো .... হয়তো আপনারা আমাকেও খারাপ ভাবতে পারেন "কারণ আমি কেন ওদের দিকে তাকিয়েছি ... !!!! আমি না তাকালেও আমার চোখের দৃষ্টিসীমা যে অ্যাঙ্গেল পর্যন্ত দেখতে সক্ষম তার অনেক ভেতরে তারা বসে এই কর্মকান্ড করছিলো ..। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এই আলো আধারের খেলার মাঝে আমাদের এই পাশে আলোর আধিক্য একটু বেশিই ছিলো ..। আর আমার উচ্চতা অনুযায়ী সিটে বসার স্টাইলের দরুন ওদেরকে বেশ ভাল ভাবেই নজরে আসছিল ....। কিন্তু আমার কথা হলো ,,,, হল কর্তৃপক্ষ কি এসব বিষয় গুলো জানে ??? আর এধরনের বিষয়গুলো মানুষ এত ওপেন পরিবেশে কেন করতে যায় । সেক্সুয়াল রিলেশন থাকা এখন অস্বাভাবিক না ,,, তাই বলে এত ওপেন ??? কি যুগ আইলো রে দুনিয়ায় .... কি আর বলবো ভাই .. গত পরশুদিন রান্না করতে করতে হঠাৎ দেখলাম সামনের বাসার ব্যালকনিতে দাড়িয়ে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে কিস করতেছে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ভাই এগুলো কি চার দেওয়ালের মাঝে করা যায় না ???? আমি কথা গুলো বললাম বলে হয়তো খারাপ হয়ে যাবো অনেকের কাছে ।

অনেকেই বলবে আমার নজর খারাপ ,,, !!! আপনার সামনে এগুলো এত পড়ে ক্যান ??? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন !!!!!!! কিন্তু একবারও কি নিজের মনে প্রশ্ন করে দেখেছেন ,,," আমাদের নৈতিকতা আর মূল্যবোধ কতটুকু নিচে নেমে গেছে " আধুনিকতার নামে আমরা কতটুকু উলঙ্গ হয়ে পড়েছি " ???? আসলে সবই কপাল ..............................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।