আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গেরিলা ম্যানুয়েল ৩

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

গেরিলা যুদ্ধের রীতি ও কৌশল : ১. শত্রুকে চমকে দেওয়া ও প্রতারণা করা- গেরিলার জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র কৌশল- শত্রুকে হঠাত চমকে দেওয়া। শত্রু অধিকৃত এলাকায় স্বল্পসংখক লোকবল ও অস্ত্রবল নিয়ে কাজ করতে হয়, সুতরাং শত্রুকে আচমকা আঘাত না হানলে শত্রু প্রস্তুতি নিয়ে উল্টো আঘাত হেনে অবাঞ্ছিত পরিমান ক্ষতিসাধন করতে পারে। অতএব এ ধরণের চমকে দেওয়ার জন্য গেরিলারা নিম্নলিখিত উপায়ে কাজ করবে : ক. শত্রু যেখানে তোমার আঘাতের আশঙ্কা করে না সেখানে আঘাত করো খ. একইস্থানে বারবার কাজ করবে না, এতে শত্রু সাবধান হয়ে আটঘাট বেঁধে আঘাত প্রতিহত করবে গ. রাতের অন্ধকারে কাজ করবে ঘ. তোমার কাজের কোনো নিয়মিত পদ্ধতি হবে না, এ প্রক্রিয়া পরিবর্তন করবে ঙ. কঠিন সাবধানতা অবলম্বন করবে ২. সাবধানতা- বেঁচে থাকা গেরিলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এমন কোনো কাজ করবে না যাতে তোমার অস্তিত্বের আশংকা দেখা দেয়। সর্বক্ষণ জাগ্রত দৃষ্টি রাখবে যাতে শত্রু তোমাকে আচমকা আঘাত না করতে পারে ৩. গতিশীলতা- নিয়মিত যুদ্ধে সৈনিকের যেসব যানবাহনের সুযোগ থাকে, গেরিলাদের তা থাকে না।

এই জন্য গেরিলাদের ততপরতা এমন সব স্থানে করতে হবে যেখানে নিয়মিত সৈনিকের আধুনিক যানবাহন পৌঁছানো সম্ভব নয়। গেরিলা গতিশীলতার জন্য প্রয়োজন : ক. ধাঁধার জন্য খ. চমকে দেওয়ার জন্য গতিশীলতার জন্য গেরিলা: গ. শারীরিকভাবে হালকা হবে ঘ. বাহ্যিক ও মানসিক দিক থেকে দৃঢ় হবে ঙ. চিন্তাশীল ও ভালো পরিকল্পনাবিদ হবে ৪. আক্রমণ- গেরিলা সর্বদা আক্রমণে উদ্যোগী হবে। যদি কোথাও শত্রু আক্রমণ করে তবে যথাসম্ভব সম্মুখযুদ্ধ এড়িয়ে যেতে হবে। ৫. চেতনা- গেরিলার চেতনা ও উদ্যম সর্বোচ্চ স্তরের হওয়া চাই। তাদের মনোভাব এমন হবে যে, তারা সবাই একই পরিবারের লোক, একই আদর্শ বা কারণের জন্য যুদ্ধরত।

সাথীকে বিপদে ফেলে গেরিলা কথনো পালায় না। ৬. নিয়মানুবর্তিতা- গেরিলার শৃংখলা সর্বোচ্চ স্তরের হবে। নিজের জীবন বিপন্ন করেও গেরিলা তার দলপতির নির্দেশ মানে। (চলবে) লেখাটি একইসঙ্গে সচলায়তনে প্রকাশিত

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।