সত্যেন্দ্র নাথ দত্ত :
যিনি বাংলা সাহিত্যে "ছন্দের যাদুকর" নামে খ্যাত।
১৮৮২ সালে তাঁর জন্ম।
রবীন্দ্র নাথের অত্যন্ত নিকটবর্তী কবিদের মধ্যে সত্যেন্দ্র নাথ দ্ত্ত সর্ব প্রথম
জন-সাধরণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সম-সাময়িক অন্যান্য কবিদের মধ্যে
যিনি ব্যাতিক্রম। আবার পুরোপুরি রবীন্দ্র-অনুসারিও তিনি নন।
তাঁর বিশিষ্টতা সম্পর্কে একটা কথা বলা হয়ে থাকে- যে, তিনি বাস্তববাদী কবি।
কবি তাঁর কবিতায় তাই লিখেন যা, তিনি চোখে দেখেছেন এবং বিভিন্ন ছন্দে
প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছেন। বাস্তব-ঘেষা কবিতার অসুবিধা এই যে,
অনেক সময়ই ছন্দ-বদ্ধ রিপোর্ট এর মত মনে হয়।
তাঁর লেখায় সব সময়, দেখা'র উপর জোর দিয়েছেন অনুভূতি'র উপর নয়।
তাঁর লেখা পদ্মা, রামধনু, গঙ্গাঁর প্রতি' সমস্ত কবিতাই
এর পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
"রাত্রির বর্ণনা" কবিতায় সত্যেন্দ্র নাথ দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দে'র অভিনবত্ব
দেখিয়েছেন।
কিন্তু তা কাব্য হয়েছে কি না এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ আছে।
ছন্দের বৈচিত্র্য সম্পাদন করতে গিয়ে
সত্যেন্দ্র নাথ বাংলা কবিতায় সর্বত্র রস:স্বাদ', মাধুর্য্য আনতে সক্ষম হয়েছেন
এ'কথা বলা চলে না কিন্তু তিনি বাংলা কবিতায় প্রচুর ফার্সি ও উর্দু শব্দ
ব্যবহার করেছেন এবং অপ্রচলিত ও অনাদৃত দেশজ' শব্দকে সংস্কার করে
কবিতায় স্হান দিয়েছেন। ১৯২২ সালে অল্প বয়সে এই মহান লেখকের মৃত্যু হয়।
তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য কাব্য গ্রন্হ গুলি.. বেনু ও বীণা, হোম-শিখা, ফুলের ফসল,
কুহূ ও কেকা, তুলির লিখন, অভ্র-আবীর, বেলা শেষের গাণ ও বিদায় আরতী।
।
শেষ দুটি কাব্য কবির মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়।
অনুবাদ কাব্য:- তীর্থ সলিল ও তীর্থ রেণু। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।