আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থহীন জীবেনর যবিনকা



আমি আজ বলতে গিয়ে থেমে গেছি । মনে পড়ছে লিপির কথা । আমার প্রথম প্রেম । ( খালাতো) ভাবরি ছোট বোন । আত্নীয়তার সম্পর্কে বেযাই ।

আমাদের এলাকায বলে তালতো বোন । দেখার প্রথম দিনেই বেশ জমে তার সাথে । মেযেটা এইচ এসসি পরিক্ষার্থী অথচ কথা বলে ছোট বাচ্চাদের মত । আমার পাশে এসে বসে ... মিষ্টি হাসে । আমি পুলকিত হই ।

ওকে সরাসরি দেখে স্বাদ মিটেনা তাই চুরি করে দেখি । অল্প কয়দিনে লিপি যে আমার কত আপন হল বলার মত না । ওকে নিযে স্বপেনর ছক আকি প্রাযই । সময়ে অসময়ে গিয়ে হাজির হই ভাবির বাড়ি । কেউ জানেনা কেন এত ঘন ঘন আসি আমি ।

আম ভাবতাম ও জানে । আমার ভালবাসা বুঝানোর জন্য ওকে কত কিছু আকারে ইংগিতে বলতাম ... থাকনা এসব , শেষটা বলে । একদিন লিপিদের বাড়ি গেলাম ভেবেছি ওকে আজ বলব আামর মনের কথা । গিযে দেখি ওর মনটা খুব খারাপ । আমার মনটাও খারাপ হযে যায ।

বলেনতো এ অবস্হায কি কোন প্রেমিকের মন আল থাকতে পারে ? সন্ধ্যার পর ও আমাকে পুকুরঘাটে নিয়ে যায় । আমার দু হাত ধরে কাদতে শুরু করে ভাইযা সুমনের সাথে আমার তিন বছরের সম্পর্ক । ও আজ আমাকে... লিপি কথা বলতে পারেনা ...তুমি একটু ওকে বুঝিয়ে বলনা ভাইয়া । বলব তুমি এমন করোনা । আগে কান্না থামাও ।

ভাবি আমাকে বুঝাবে কে? আমারতো কান্নার শক্তিও নেই । এ যে পুকুরের পানিতে কলস ভরতে এসে , চোখের পানিতে পুকুর ভরা । ওর বিয়ে কিন্তু ঐ ছেলেটার সাথেই হয়ছিল । আপনারা হয়তো জানেন না লিপির বিযের বাজর করেছিলাম আমি নিজেই । তারপর কত দিন কেটে গেল ...শুরু হল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ।

জীবনে শপথ করেছিলাম আর কোন মেয়েকে কাছে ঘেষতে দেবনা । এই ললনাকে দেখে আর নিজেকে স্হির রাখতে পারিনি । প্রথম যে দিন ও এসে বলর ভা্ইয়া আপনি কি এই বিভাগের ? আমি পাগল হয়ে যাই । লেখে বুঝাতে পারব না কততটা সুন্দর ও । আগ পিছ না ভেবে ওই মেযেটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি ।

ওর জন্য খেয়ে না খেযে কত কাজ করলাম । একটা ধন্যবাোদর আশাও করিনি । একদিন ভাবি ওকে বলব আামর ভালবাসার কথা । বলতে গিয়ে স্তব্দ হই । ও সোহরাওযার্দি ওদ্যানে চুটিয়ে প্রেম করছে আমদেরই এক বড় ভাইয়ের সাথে ।

আমি কাদিও নি হাসি ও নি । শুধু কাকে যেন ধিক্কার দিয়েছি এই তবে বিধাতার লিখা ভাগ্য । আমিতো ভালবাসতে চাইনি কাউকে । আমার কপালে এনে ওকে জুটাল কে ? আর কেনই বা কেড়ে নিল । আমি আর ভাবতে পারিনা ।

শুধু মায়ের আদর মাখা ডাকটা শুনি ... আরেফিন বাবা পড়ে গিযে ব্যাথ পেযেছিস নাকি রে । ছোট বেলায় প্রাযই আমি রাতে স্বপ্ন দেখতে দেখতে খাট থেকে পড়ে যেতাম । মা দৌড়ে এসে আমায আবার খাটে তূলত । চারটা মেযের একটা মাত্র ছেলে আমি । আমার আদর ছিল তাই আকাশ ছোয়া ।

জান মা আজতো এ চোখে ঘুমই আসেনা খাট থেকে কিভাবে পড়ব বল ? । ঘুমহীন চোখে বারাবর আওড়াই রুদ্রের কবিতা '' এ চোখে ঘুম আসে না , তন্দ্রার ভিতর দেখি ... মা আরতো সইছেনা আমার । তোমার ছোট্ট সোনামনির স্মৃতি ধরে বেচে থেক । জানি কষ্ট হবে , তবু চলে গেলাম । ঘমহীন চেখে আরতো জীবন চলে নাগো মা ।

তন্দ্রা ভেঙ্গে যায কারো গাঢ় হসিতে । তাই চলে যাচ্ছি মা । জানি তোমার কান্নায় পথীবি ভাসবে .. হয়তো তুমি ঘুমের ঘরে চিৎকার করে বলবে আরেফিন বাবা পরে গিয়ে ব্যাথা পেলি নাকি রে ? ... অন্ধকারে হাতরে খুজবে আদরের ধনকে ...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।