এখানে প্রকাশিত লেখার সত্ত্ব সংরক্ষিত।
বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এখান থেকেই তৈরী হয় দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। একটি দেশের ভাবমূর্তির অনেকটাই বলে দেয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা দেখে। সাম্প্রতিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিংসতার ঘটনা আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে আবারও ক্ষুন্ন করেছে।
হল দখলের এই রাজনীতি চর দখলের রাজনীতির মতই যেন। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের অর্ন্তকোন্দলে আহত হয়েছে বিপুল সংখ্যক ছাত্র। এদের বেশীরভাগ আবার প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানিয়েছে পত্রিকাগুলো। অর্থাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদেরকে ব্যবহার করেছে ছত্রলীগ। আমরা এতদিন দেখেছি শিবির রগকাটা রাজনীতি করে।
এখন দেখছি ছাত্রলীগ তাদের অনুসরন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে বারবার ছাত্রলীগের জন্য বিব্রত হয়েছেন, এবারও হয়তো তিনি বিব্রত। কিন্তু শুধুমাত্র বিব্রত হওয়া কোনো কাজের কথা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে কি রাজনীতির বাইরে রাখা যায়না? গুটিকয় রাজনীতি করা ছাত্রদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জিম্মি হওয়া থেকে সাধরন ছাত্রদের রক্ষা করতে হবে। রাজনীতি মানে নোংরামী নয়।
যারা রাজনীতির নামে নোংরামী, সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব করে তাদেরই যেন বেশী চাহিদা দলগুলোতে। ছাত্রলীগ যদি সুষ্ঠ ধারার রাজনীতি করতে না পারে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উচিত এই সংগঠনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া। নতুবা এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।