কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তাঁদের আশা, এতে সফল হলে মস্তিষ্কের ক্ষত সারিয়ে তোলার ও মেধা উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে কাজ করা সহজ হবে।
মার্কিন একদল গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ভিটেরবি স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃত্রিম সিন্যাপস (স্নায়ুকোষের সংযুক্তিকেন্দ্র) সার্কিট তৈরি করেছেন। এই সিন্যাপস সার্কিট মস্তিষ্কের কোষের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। সিন্যাপস হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম, যা কোনো স্নায়ুকোষ (নিউরন) থেকে একটি বার্তা অন্য স্নায়ুকোষ অথবা মস্তিষ্কের কোষে প্রবাহিত করতে সংযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করে।
অধ্যাপক অ্যালিস পার্কার ও অধ্যাপক চংগু ঝউয়ের নেতৃত্বে এই গবেষক দলটি কাজ করছে। মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ডের জটিল সমস্যাগুলো বুঝতে পার্কার ও ঝউ মিলে বামন প্রযুক্তি (ন্যানো টেকনোলজি) ব্যবহার করে সিন্যাপস সার্কিটের নকশা করেছেন। পার্কার বলেন, ‘কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে সিন্যাপস সার্কিট তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। ’ কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে ২০০৬ সালে তাঁরা কাজ শুরু করেন।
পার্কার বলেন, ‘আমরা এমন একটি সার্কিট তৈরি করতে চেয়েছি, যা একটি স্নায়ুকোষের মতো কাজ করবে।
’ তবে এর পরের ধাপটি হবে বেশ জটিল। এখন ওই সার্কিটের বাইরে এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে, যে কাঠামোটি মস্তিষ্কের মতো কাজ করবে। তবে পার্কার এ কথাও বলেন, সংশ্লেষণের মাধ্যমে কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরি করা, যা আসল মস্তিষ্কের মতোই কাজ করবে—এমন সাফল্য অর্জনের বিষয়টি এখনো কয়েক দশক দূরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।