শব্দ হচ্ছে সকল প্রাণীর যোগাযোগের মাধ্যম। শব্দের মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে মনের ভাব বিনিময় করি। মানুষের সাথে অন্যান্য প্রাণীর পার্থক্য হচ্ছে মানুষ কথা বলতে পারে অন্যরা পারে না। এই কথা বলার জন্যও প্রয়োজন হয় শব্দের। যে মানুষ শব্দ শুনতে পারে না এবং কথা বলতে পারে না নে হাজার মানুষের মাঝে থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আবার শব্দ যখন অতিরিক্ত মাত্রায় উৎপন্ন হয় তখন সেটা সহ্যসীমার বাইরে চলে যায় এবং দূষণের পর্যায়ে পড়ে। এই মাত্রাতিরিক্ত শব্দ যে কোন মানুষের জন্যে মারাতœক তি ডেকে আনতে পারে। যা অধিকাংশ েেত্র হচ্ছে মানুষের অদূরদর্শী ক্রিয়াকলাপের কারণে।
দিন দিন মানুষের ব্যস্ততা বহুগুণ বেড়ে চলছে। মানুষ পুরোমাত্রায় যান্ত্রিক যানবাহনের উপর নির্ভর হয়ে সামান্য পথও পায়ে হেটে চলার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য স্থলে পৌঁছানোর তাগিদে মানুষ যানবাহন নির্ভর হয়ে পড়েছে। একটি থেকে আরেকটি দ্রুত পৌঁছানোর জন্য অযথা হর্ন দিয়ে চলছে এছাড়া ট্রাফিক সিগন্যালে ও যানজটে গাড়ি চালকরা হর্নের ব্যবহার যথেচ্ছাভাবে করছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০০৬ সালে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা পাস করে। বিধিমালা পাসের তিন বছর পার হলেও তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিতে হবে বিধিমালা বাস্তবায়নে কঠোর পদপে।
শব্দদূষণ এর উৎস
শব্দদূষণ হলো মানুষের তৈরি সমস্যা। মানুষ দৈনন্দিন কিছু কার্যকলাপের কারণে শব্দদূষণ সৃষ্টি হচ্ছে। শব্দদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ গাড়ির হর্ন। এছাড়া ইটভাঙ্গার মেশিনের শব্দ ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির শব্দ, জেনারেটরের শব্দ, কলকারখানার সৃষ্ট শব্দ, মিউজিক বা মাইকের শব্দ, ট্রেনের হুইসেলের শব্দ, বিমান উড়ার শব্দসহ নানাধরণের বিকট শব্দের দ্বারা এই শব্দদূষণ তৈরি হচ্ছে।
গাড়ির হর্ন
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে শব্দদূষণ এর প্রধান উৎস হলো গাড়ির হর্ন।
গাড়ি বলতে এখানে বাস, ট্রকি, প্রাইভেট কার মাইক্রো, মটর সাইকেল এবং সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে বোঝানো হয়েছে। স¤প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রাইভেট কার এর হর্ন শব্দদূষণের অন্যতম উৎস।
ইটভাঙ্গার মেশিন
আধুনিকায়নের সাথে সাথে কলকারখানা বাড়ছে, বাড়ছে ইমারত সেই সাথে বাড়ছে আনুসঙ্গিক সরঞ্জাম। ঢাকাসহ সারাদেশে শহর বা গ্রামে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভবন ও আধুনিক মার্কেট। ইমারত নির্মাণের কিছু সরঞ্জামের অপব্যবহার এর কারণে সৃষ্টি করছে শব্দদূষণের।
বর্তমানে ভবন নির্মাণের েেত্র অপরিহার্য হয়ে পড়েছে ইট ভাঙ্গা মেশিন, মিকচার মেশিন, টাইলস্ কাটা মেশিন। এসব মেশিন ব্যবহার এর ফলে আবাসিক, নীরবসহ সকল এলাকায় শব্দের মাত্রা বেড়ে চলছে।
জেনারটের শব্দ
বিদ্যুৎ সমস্যা বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। লোডশেডিং হয় না এমন কোন আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং শিল্প এলাকা নেই। বিদ্যুত ঘাটতি পুরনের জন্য লোডশেডিং এর সাথে সাথে চালু হচ্ছে হাজার হাজার জেনারেটর।
নাগরিক জীবনের একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে জেনারেটরের শব্দ। বহুতল ভবন, শপিং মল এমনকি ছোট ছোট দোকানে আজকাল ব্যবহৃত হচ্ছে জেনারেটর। বহুতল ভবন ও শপিং মলের লিফট ও বিদ্যুত সরবরাহের জন্য জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। জেনারেটর ব্যবহার এর কারণে শব্দদূষণ এবং বায়ুদূূষণ মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেনারেটর এর পরিবর্তে আমরা সৌর শক্তিকে কাজে লাগাতে পারি এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি।
শব্দদূষণ এর ফলে স্বাস্থ্যগত তি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং বিশ্ব ব্যাংকের একাধিক গবেষণা ও সমীা থেকে জানা যায় যে, দেশে ৩০ টি কঠিন রোগের কারণ ১২ রকম পরিবেশ দূষণ। শব্দদূষণ যার মধ্যে অন্যতম। মানুষের স্বাস্থ্যের উপর শব্দদূষণের প্রভাব নির্ভর করে তার বি¯তৃতি, স্থায়ীত্ব এবং পুনঃপুন আক্রান্ত হওয়ার মাত্রার উপর। শব্দদূষণের কারণে ণস্থায়ী বা স্থায়ী উভয় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারনতঃ যে ধরনের সমস্যা হতে পারে তা হল কানে কম শোনা; যা থেকে সৃষ্টি হয় মানসিক ভারসাম্যহীনতা, উৎকন্ঠা, মানসিক ভীতি এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা।
এছাড়া অস্থিরতা, স্নায়ুচাপ, ণস্থায়ী রক্তচাপ বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, , রক্ত সরবরাহ গত সমস্যা এবং এক ধরনের শব্দভীতি তৈরী হয় (যে কোন ধরণের ইলেক্ট্রোনিক যন্ত্র যেমন-মোবাইল ফোন, পেজার, ইলেক্ট্রোনিক গেম ইত্যাদি শব্দ হলেই ভয় পাওয়া)।
শব্দদূষণ এর তিগ্রস্থ
শব্দদূষণ আমাদের জনজীবনের চলার গতিকে ব্যহত করে চলছে। শব্দদূষণের কারণে যারা তিগ্রস্থ হচ্ছে তারা হলেন- ট্রাফিক পুলিশ, গাড়ি চালক, শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এছাড়া সাধারণ মানুষ যাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রত্যহ বাসা থেকে বাইরে বের হতে হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশ
শব্দদূষণের অন্যতম শিকার হলো ট্রাফিক পুলিশ। স¤প্রতি ভারতের পুনা শহরে এক গবেষণায় দেখা যায় সেখানকার ৮০% ট্রাফিক পুলিশ শব্দদূষণ এর কারণে শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে।
আবার ব্যাংকক শহরের এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, সেখানকার এক তৃতীয়াংশ পুলিশ শ্রবণ শক্তির সমস্যায় ভুগছেন। দিনদিন আক্রান্ত ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দশ বছরের উপরে কর্মরত প্রায় সব পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যেই এই সমস্যা বিদ্যামান। আমাদের দেশে এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু সহজেই অনুমান করা যেতে পারে, ট্রাফিক পুলিশের শ্রবণযন্ত্র কি অবস্থায় আছে।
গাড়ি চালক
যানবাহনে ব্যবহৃত উচ্চশব্দের হর্ন যেহেতু শব্দদূষণ এর প্রধানতম কারণ।
যানবাহনের চালকরাই উচ্চশব্দে হর্ন বাজিয়ে শব্দদূষণ তৈরি করে এবং মানুষের শ্রবণেন্দ্রিয়তে আঘাত করে। কিন্তু এতে শুধুমাত্র জনসাধারণই তিগ্রস্থ হচ্ছে তা নয়, গাড়ি চালকরাও মারাতœকভাবে তিগ্রস্থ হচ্ছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা প্রণয়নের আগে ও পরের ঢাকা কয়েকটি স্থানে শব্দের মানমাত্রা
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি পৃথক আইন প্রণয়নের জন্য দাবী তোলা হয় ২০০২ সালে। ২০০২ সালে শব্দদূষণ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা জানার ল্েয ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট কর্তৃক একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় ৮৬% সাধারণ জনগণ এর কাছে শব্দদূষণ একটি বড় ধরনের সমস্যা।
একটি বড় অংশ জানে না শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কিনা। আবার ৯৪% সাধারণ মানুষ, ৮৫% গাড়ির চালক মনে করে যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করা জরুরী। ২০০৪ সালে সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করে এবং ২০০৬ সালে খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। ২০০৪ সালে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এবং এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভারসিটি ঢাকা শহরের ২০ টি এলাকার শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে। ২০০৪ সালে পরিচালিত গবেষণার কিছু এলাকার শব্দের মানমাত্রা দেওয়া হলো:
এলাকার নাম শব্দের মাত্রা (ডেসিবেল) এলাকার নাম শব্দের মাত্রা (ডেসিবেল)
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ১১০ গুলিস্থান ১০০
বাংলা মটর ১০৪ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ৯৬
ফার্মগেইট ১০৩ সদরঘাট ৯৮
মহাখালী ক্রসিং ৯৯ বারডেম হসপিটাল ৮৬
মগবাজার ৯৭ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা ৯৬
মৌচাক ১০১ কল্যাণপুর ৯৬
তেজগাঁও শিল্প এলাকা ৯৭ ভিকারুননিসা নুন স্কুল ১০২
এখানে নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক এবং শিল্প প্রতিটি এলাকা ধরে ঢাকা শহরের কয়েকটি অঞ্চলে শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে।
কিন্তু শব্দের মাত্রা পরিমাপ দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটি নীরব আর কোনটি শিল্প এলাকা শব্দের মাত্রা।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থান ভেদে শব্দের স্থানীয় মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে যা নিচের ছকের সাহায্যে দেখানো হল ঃ
ক্রমিক নং এলাকার শ্রেণী ডেসিবেল এককে ধার্যকৃত সীমা
দিবা (৬ টা-রাত ৯টা) রাত্র (রাত ৯-ভোর ৬টা)
ক নীরব এলাকা ৫০ ৪০
খ আবাসিক এলাকা ৫৫ ৪৫
গ মিশ্র এলাকা ৬০ ৫০
ঘ বাণিজ্যিক এলাকা ৭০ ৬০
ঙ শিল্প এলাকা ৭৫ ৭০
ব্যাখ্যাঃ (ক) ভোর ৬টা হইতে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত ব্যাপ্ত সময় দিবাকালীন সময় হিসাবে চিহ্নিত। (খ) রাত্রি ৯টা হইতে ভোর ৬টা পর্যন্ত ব্যাপ্ত সময় রাত্রিকালীন সময় হিসাবে চিহ্নিত।
২০০৬ সালে বিধিমালা প্রণয়নের পর ২০০৭ সালে পুনারায় একটি গবেষনা করা হয়।
২০০৭ সালের গবেষণা চিত্র তুলে ধরা হলো:
এলাকার নাম শব্দের মাত্রা (ডেসিবেল) এলাকার নাম শব্দের মাত্রা (ডেসিবেল)
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ১০২ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ৯৩
বাংলামটর ৯২ সদরঘাট ৮৮
ফার্মগেইট ৯৩ বারডেম হসপিটাল ৮৬
মহাখালী ক্রসিং ৯৪ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা ১০১
তেজগাঁও শিল্প এলাকা ৯৫ কল্যাণপুর ৯৫
গুলিস্থান ৯২ ভিকারুননিসা নুন স্কুল ৮২
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (ধানমন্ডি) ১০২
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়নের আগে ও পরের অবস্থা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রতিটি এলাকা শব্দের মাত্রা কমেছে ৮ থেকে ১০ ডেসিবেল এর মতো। এথেকে বোঝা যায় ঢাকা শহরের শব্দদূষণ বিধিমালা প্রণয়নের আগে যা ছিল পরবর্তীতেও একই রয়েছে। শুধু বিধিমালা প্রণয়ন করলে হবে না এজন্য বিধিমালা বাস্তবায়ন জরুরী।
স¤প্রতি ঢাকা শহরের কয়েকটি এলাকায় শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে দেখা গেছে মতিঝিল এলাকায় সর্বোচ্চ ৯৫ এবং সর্বনিম্ন ৯০ ডেসিবেল। শাহবাগ এলাকায় সর্বোচ্চ ১০০ এবং সর্বনিম্ন ৯৬ ডেসিবেল।
ধানমন্ডি অক্সফোর্ড স্কুলের সামনে সর্বোচ্চ ৯৮ এবং সর্বনিম্ন ৮০ ডেসিবেল। মালিবাগ এলাকায় সর্বোচ্চ ৯৫ এবং সর্বনিম্ন ৮০ ডেসিবেল। পান্থপথ স্কয়ার হাসপাতাল এলাকায় সর্বোচ্চ ১০৪ এবং সর্বনিম্ন ৭১। ফার্মগেইট এলাকায় সর্বোচ্চ ১০৫ এবং সর্বনিম্ন ৮১ ডেসিবেল।
সুপারিশমালা:
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের ল্েয কয়েকটি সুপারিশ দেওয়া হলো:
ক্স শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে মতা প্রদান।
ক্স শহরের প্রত্যেকটি সড়কে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ক্স শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী জরিমানা আদায় করা।
ক্স গাড়ী চালকদের প্রশিণ মডিউলে শব্দদূষণ বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করা।
ক্স শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা।
ক্স জনগণকে শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ীর বিরুদ্ধে সার্জেট বা ট্রাফিক পুলিশের নিকট অভিযোগ প্রদানের উৎসাহী করা।
ক্স শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতা বাড়ানো কার্যক্রম গ্রহণ করা।
ক্স যানবাহন চালকদের এ আইন সম্পর্কে অবহিত করা ও শব্দদূষণ বন্ধে কার্যকর পদপে গ্রহণ করা।
ক্স বিধিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা। হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ সাইনবোর্ড স্থাপন করা।
ক্স শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে এবং উচ্চশব্দ সৃষ্টিকারী যানবাহনকে নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
শব্দদূষণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ধারণ ব্যহত হচ্ছে। শব্দদূষণের ফলে মানুষসহ পরিবেশের সুস্থ অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা কার্যকর বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণের মাঝে ব্যপকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও বুদ্ধিদীপ্তভাবে গড়ে তোলার জন্য শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরী।
আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস
১৯৯৬ সাল থেকে আমেরিকার একটি সংগঠন সেন্টার ফর হিয়ারিং এন্ড কমিউনিকেশন (যার নতুন নাম লীগ ফর দা হার্ড অফ হেয়ারিং) এর উদ্যোগে এপ্রিলের যে কোন বুধবার বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।
এবার ২৭ এপ্রিল এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। চৎড়ঃবপঃ ঞযবরৎ ঐবধৎরহম, চৎড়ঃবপঃ ঞযবরৎ ঐবধষঃয এই স্লোগানকে ধরে প্রতিবছর শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। যার বাংলা করা হয়েছে সুস্বাস্থের জন্য শ্রবণশক্তি রা কর । এ দিবসটি পালন উপল্েয লীগ ফর দা হার্ড অফ হেয়ারিং বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকে। তারা এ দিনে একমিনিট নিঃশব্দে থাকে।
এছাড়া বিনামূল্যে কানের পরীা এবং শোনার যন্ত্রটি দিয়ে থাকে। বিভিন্ন কমিউনিটির সাথে শব্দদূষণ সম্পর্কে মতবিনিময় করে। বাংলাদেশে এ দিবসটি ২০০৩ সাল থেকে বেসকারিভাবে পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবারের মতো এবার এদিবসটি উদযাপন উপলে অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
নাজনীন কবীর, প্রকল্প কর্মকর্তা
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।