আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শব্দদূষণ বন্ধে বিধিমালা বাস্তবায়নে পদপে গ্রহণ করা হবে- স্বরাষ্ট্র সচিব


শব্দদূষণ বন্ধে বিধিমালা বাস্তবায়নের জনসচেনতার পাশাপাশি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে গাড়ীর হর্ণ তথা শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনী পদপে গ্রহণ করা হবে। আজ সকাল ১১ টায় কোয়ালিশন এগেইনস্ট পল্যুশান (ক্যাপ) ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঅঞঞ-২ প্রোগ্রামের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে আই এন এম অডিটরিয়ামে আয়োজিত শব্দদূষণ ও যানজট হ্রাসের ল্েয অবহিতকরণ সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র সচিব, জনাব আব্দুস সোবহান সিকদার উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব সম্পদ বড়–য়া, গঅঞঞ-২ প্রোগ্রামের টীম লিডার জনাব তপন কুমার নাথ, নর্থ সাউথ ইনিভারসিটির ইনভারমেন্টাল সাইন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন, বিএসএমএমইউ এর নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আহমেদ আমিন, ঢাকা কাবের সচিব অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুজাহিদুল ইসলাম ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের গবেষক নাজনীন কবীর। উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, উচ্চ শব্দ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাতœক তিকর। শব্দদূষণে মানুষের শ্রবণমতা হ্রাসের পাশাপাশি মাথা ধরা, অনিদ্রাসহ নানা রোগ সৃষ্টি করে।

শব্দদুষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রায় শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদপে গ্রহণ করা প্রয়োজন। গবেষক নাজনীন কবির বলেন শব্দদূষণ হলো মানুষ সৃষ্ট সমস্যা। শব্দদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ গাড়ির হর্ন। শব্দদূষণ আমাদের জনজীবনের চলার গতিকে ব্যহত করে।

শব্দদূষণের কারণে তিগ্রস্থ হচ্ছে- ট্রাফিক পুলিশ, গাড়ি চালক, শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা। সরকার জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ প্রণয়ন করে। এ বিধিমালা বাস্তবায়নে জরিমানা আদায়ে ট্রাফিক পুলিশকে মতা প্রদান করা জরুরি। জনাব তপন কুমার নাথ বলেন, শব্দদূষণ বন্ধে গঅঞঞ-২ প্রোগ্রামের আওতায় গৃহীত এই কার্যক্রম মূলত একটি মডেল। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিক পর্যায়ে শাহবাগ থেকে সোনারগাঁও হোটেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।

পরবর্তী পুলিশবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম আরো বিস্তার ঘটানো হবে। তিনি শব্দদূষণ বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সভায় জনগণকে শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ীর বিরুদ্ধে সহজে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা, সার্জেট বা ট্রাফিক পুলিশের নিকট অভিযোগ প্রদানে উৎসাহী করা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে প্রত্যেকটি সড়কে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা ও বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, গাড়ী চালকদের প্রশিণ মডিউলে শব্দদূষণ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা, গাড়ি চালক ও গাড়ির মালিকগণকে শব্দদূষণের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিতকরণসহ জনসচেতনতা সৃষ্টি, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধকরন সংক্রান্ত বিধান এবং শব্দদূষণ বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ করার সুপারিশ করেন। অবহিতকরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডেভেলপমেন্ট ফর ডিসএ্যাডভান্টেজ পিপল (ডিডিপি), নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, পিএসএস, আইএফপি, স্কোপ, মৌসুমী সংস্থা, সারডা, নাঙ্গলকোট ফাউন্ডেশন, বউকস, একলাব, সিইডিএএস, ইসি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ইউনাইটেড পিপলস ট্রাস্ট ও বিএসএমএমইউ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।