আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শব্দদূষণ নীরব ঘাতক, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসুন



উচ্চ শব্দ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাতœক ক্ষতিকর। শব্দদূষণে মানুষের শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের পাশাপাশি মাথা ধরা, অনিদ্রাসহ নানা রোগ সৃষ্টি করে। সরকার জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ প্রণয়ন করে। এ বিধিমালা মেনে চলা সকলের নৈতিক দায়িত্ব ও বিধিমালা বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অর্ন্তভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন। শব্দদূষণ হলো মানষ সৃষ্ট সমস্যা।

শব্দদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ গাড়ির হর্ন। এছাড়া ইটভাঙ্গার মেশিনের শব্দ ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির শব্দ, জেনারেটরের শব্দ, কলকারখানার সৃষ্ট শব্দ, মিউজিক বা মাইকের শব্দ, ট্রেনের হুইসেলের শব্দ, বিমান উড্ডয়নের শব্দসহ নানাধরণের বিকট শব্দের দ্বারা এই শব্দদূষণ তৈরি হচ্ছে। শব্দদূষণ আমাদের জনজীবনের চলার গতিকে ব্যহত করে। শব্দদূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে- ট্রাফিক পুলিশ, গাড়ি চালক, শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা। এছাড়া সাধারণ মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে প্রত্যহ বাসা থেকে বাইরে বের হচ্ছে।

স¤প্রতি ভারতের পুনা শহরে এক গবেষণায় দেখা যায় ৮০% ট্রাফিক পুলিশ শব্দদূষণ এর কারণে স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি লোপ পেয়েছে। আবার ব্যাংকক শহরের এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, ‘এক তৃতীয়াংশ পুলিশ শ্রবণ শক্তির সমস্যায় ভুগছেন। দিনদিন আক্রান্ত ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দশ বছরের উপরে কর্মরত প্রায় সব পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যেই এই সমস্যা বিদ্যমান। ’ আমাদের দেশে এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সহজেই অনুমান করা যেতে পারে এদেশের শিশু ও পথচারীসহ আপামর জনসাধারণের শ্রবণক্ষমতা কি অবস্থায় আছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি সুপারিশ: ক্স শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতা প্রদান এবং জনগণকে শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ীর বিরুদ্ধে সার্জেট বা ট্রাফিক পুলিশের নিকট অভিযোগ প্রদানে উৎসাহী করা।

ক্স শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে প্রত্যেকটি সড়কে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা ও বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ক্স গাড়ী চালকদের প্রশিক্ষণ মডিউলে শব্দদূষণ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। ক্স গাড়ি চালক ও গাড়ির মালিকগণকে শব্দদূষণের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিতকরণসহ জনসচেতনতা সৃষ্টি। ক্স ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধকরন সংক্রান্ত বিধান এবং শব্দদূষণ বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ। আমাদের সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ শব্দদূষণকে একটি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে আসবে


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।