একটা সময় অনেকেই ফ্যাশনের জন্য মিশ্র ভাষায় কথা বলত। এই যেমন বাংলার সঙ্গে ইংরেজি। এখনও হয়তো অনেকেই স্টাইলের জন্য এভাবেই কথা বলে, আবার কেউবা এটাকে রূপ দিয়েছে একটি পেশায়। এক কথায় বললে_ আরজে। আরজে এখন একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে সবার মাঝে ঠাঁই করে নিয়েছে।
কিন্তু একটি সময় অনেকেই আড়চোখে দেখেছিল এটাকে। যদিও শুরুতে এ পেশায় আসার আগ্রহীরা অনেক কষ্ট করেছে। তেমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সন্ধান মেলেনি আরজে শেখার। কিন্তু এখন আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১ থেকে ২ মাসের আরজে হওয়ার সাধারণ ধারণাটা দিয়ে থাকে। আর সেই ধারণা থেকেই শুরু।
তরুণ সমাজের এখন এফএম রেডিও বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। সঙ্গে উঠে এসেছে এর আয়োজকরাও। তবে অনেকেই এ পেশায় যুক্ত হতে পারে না। কারণ অনেকেই হয়তো জানেন না_ কোথায়, কীভাবে, কী করতে হবে।
আরজে মানে...
আরজে অর্থ রেডিও জকি।
এ পেশায় শুধু বাংলার সঙ্গে ইংরেজি ভাষা জানলেই হয় না। এ পেশায় আসতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও স্মার্টনেস। তার সঙ্গে প্রয়োজন নিয়মিত এফএম রেডিওর অনুষ্ঠান শোনা। শুধু চলাফেরায় স্মার্ট হলেই চলবে না। হতে হবে কথায় মার্জিত ভাষার অধিকারী।
এটাকে পেশা কিংবা নেশা হিসেবে নেওয়া যায় খুব সহজেই। এ পেশায় যেমন ভাষার ব্যবহার হয়, তেমনি ব্যবহার হয় কারিগরি জ্ঞানও। এখানে ভাষার সঙ্গে কারিগরির দিকটিও ব্যবহার হয়। সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয় প্রতিনিয়ত। তাই এমন মানসিকতা তৈরি করতে হয় নিজের ভেতর।
যা প্রয়োজন
প্রথমেই থাকতে হবে নূ্নতম গ্র্যাজুয়েশন। পড়ালেখার পাশাপাশি এ পেশায় আসারও সুযোগ রয়েছে। ভাষা উচ্চারণ সঠিক ও শুদ্ধ হতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে। পর্যাপ্ত সাধারণ জ্ঞান থাকতে হবে।
কারণ নিয়তই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ করে ধৈর্যশীল, শান্ত ও ভদ্র হতে হবে।
যেখানে শেখা যাবে
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠানেই শেখানো হয় আরজে কোর্স। সেক্ষেত্রে যারা এ কোর্সটি করেছে তাদের থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে এ পেশায় যারা নিযুক্ত, তাদের কাছ থেকে শেখা যেতে পারে।
বর্তমানে আরজেরা অনেক প্রতিষ্ঠান খুলেছে। তাদের কাছ থেকেও শেখা যেতে পারে। ঢাকা শহরে এমনি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও এফএম রেডিওগুলোতে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।