আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম আলোর মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।........................



প্রথম আলো কে মুটামটি ভাল জানতাম। কিন্তু এই ঘটনার পর তা আর ভাল জানতে পারছি না। এত বড় একটা মিথ্যা সংবাদ কি করে তারা প্রকাশ করলো। ? আমি Chittagong medical college ঘটে যাওয়া recent ঘটনার কথা বলছি। ঘটনার অরজিনাল পাবেন আই লিংকে।

আমি সেখান থেকে কিছু ঘটনা এই খানে দিলাম “ রাত ৮.৩০ এর মত বাজে। ৫জন মেডিকেল ছাত্র তাদের একজনের টেস্ট রিপোট আনতে পাঁচলাইশে অবস্থিত শেভরন নামক ক্লিনিক্যাল ল্যাবে যায়। তাদের প্রত্যেকেরই পরদিন সকালে পরীক্ষা ছিল। ১৫মিনিটের মত লাইনে অপেক্ষা করার পর তাদের একজন ৮টা ৪৪ মিনিটে বললো- -ভাইয়া, আমরা মেডিকেলের ছাত্র, কালকে পরীক্ষা আছে,যদি কষ্ট করে আমাদেরকে একটু আগে বিদায় করেন,ভালো হয়। রিসিপশনিস্টঃ মেডিকেল স্টুডেন্ট হইসেন দেখে কি বাল ছিঁড়ে ফেলসেন নাকি? -দেখেন ভাইয়া, আমাদের স্যাররা আপনাদের এখানে চেম্বার করে,তারাও আমাদের সাথে এভাবে কথা বলে না।

ভদ্রভাবে কথা বলেন। মহিলা রিসিপশনিস্টঃ এই, এই মাগীর পুত গুলারে বাঁধ। বাঁইন্ধা মার। সাথে সাথে ১০-১১ জনের মত কর্মচারী তাদের দুইজনকে ঘিরে ফেলে। তাদেরকে হাত পিছমোড়া করে নিয়ে সামনে থেকে একজন ঘুষি মারতে থাকে।

আরেকজনকে মাটিতে শুইয়ে অনবরত পা দিয়ে লাথি মারা হতে থাকে। এরই মাঝে একজন ছাত্রের মোবাইল ও মানিব্যাগ সরিয়ে নেয় তারা। শব্দ শুনে বাইরে অপেক্ষারত অপর ৩জন ছুটে আসে, তারা অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যায়। কোনভাবে তাদেরকে সরিয়ে তারা বাইরে চলে আসে এবং হোস্টেলে ফোন দেয়। এক এক করে প্রায় ৮০-৯০জন ছেলে শেভরন এর সামনে চলে আসে।

পুরো ল্যাব ঘিরে ফেলা হয়। প্রথমে সাধারণ রোগীদের বের করে দেয়া হয়। ছাত্ররা স্লোগান দিতে থাকে-“শুধু যারা গায়ে হাত তুলেছে, তাদেরকে বের করে দেয়া হোক, তাদের আর কোন দাবী নাই, ল্যাবের কোন ক্ষতি হবে না”। ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন বের হয়ে আসেন, তারা দাবী করেন,এই ধরনের কোনকিছুই ঘটেনি। তারা CCTV দেখার আমন্ত্রন জানান।

এরই মাঝে প্রায় ৫০জন দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। টিভি দেখার সময় একজন পুলিশ অফিসার,ল্যাব এর ম্যানেজার এবং সাধারন ছাত্ররা উপস্থিত ছিল। ঘটনা যা সত্যি ছিল, তাই ক্যামেরায় ধরা পড়ে। অনেকে এ দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠে। সাথে সাথে ছাত্ররা ফুঁসে উঠে,ল্যাবের ভেতরে সব ভেঙ্গে চুরমাচুর করে দেয়া হয়।

শেভরন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বের হয়ে আসেন,তিনি কথা দেন, ১০মিনিটের মাঝে সেই কর্মচারীগুলোকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে। ছাত্ররা বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয়। ২০মিনিট পরেও যখন কিছু হলো না,তখন ছাত্ররা ইট মারা শুরু করে। ক্রমাগত ঢিলের আঘাতে শেভরন এর সামনের বেশ খানিকটা অংশ ধসে পড়ে। আবার বের হয়ে আসেন সেই ভদ্রলোক,তিনি বলেন,সেই লোকগুলি পালিয়ে গেছে।

তিনি আর কিছুক্ষন সময় নেন। আসলে কেউ-ই বুঝেননি, এ ছিল কালক্ষেপণের ষড়যন্ত্র। এই সময়ের মাঝেই আরো প্রায় ১৫০ দাঙ্গা পুলিশ উপস্থিত হয়। তাদের ধাওয়ায় সাধারণ ছাত্ররা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তারা মেডিকেলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়, হাসপাতাল এবং কলেজে তালা ঝুলিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয়।

সারারাত অবস্থানের পর সকালেও এই অবস্থা বজায় থাকে। সকালে সকল শিক্ষক,BMA-র নেতা, আ জ ম নাসিরউদ্দিন এবং শেভরনের পরিচালকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারা ছাত্রদের দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। দাবীগুলো ছিল- ১। জড়িতদের শাস্তি প্রদান, ২।

প্রত্যেকটি জাতীয় পত্রিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যাব এর পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রাথনা, ৩। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে শেভরন নিষিদ্ধ ঘোষনা। ” আর ওই দিনকার ভিডিও তা পাবেন এই লিংকে। এই যদি অবস্তা তাহলে অন্য সংবাদে কি অবস্তা?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.