বোবার নাকি কোন শত্রু নাই, কিন্তু বোবা তো থাকতে পারি না......
নারছিসিজম! নাম শুনে থাকবেন হয়ত, আর না শুনলেও ক্ষতি নেই। এখন জেনে যান।
মানসিক একটা রোগ। বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ভাল না বেসে উল্টো নিজেকেই ভালবেসে বসে এই রোগের রোগীরা। চিন্তা করে দেখুন তো, এই অবস্থা যদি সুন্দরীদের ক্ষেত্রে বেশী ঘটে তাহলে আমাদের হবে টা কি?
আগে জানতাম, মানসিক ভারসাম্যহীনরা ছাড়া আর সবাই নিজেকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসে।
কিন্তু এখন তো দেখছি মানসিক ভারসাম্যহীনরা নিজেদের প্রচণ্ডভাবে ভালবাসতেও পারে।
নারছিসিজম- এই নামের পিছনে মিথোলজিকাল একটা ইতিহাস আছে। জনৈক Narcissus নামের এক বালক তার চেহারা কখনোই আয়নাতে দেখে নি। Echo নামের এক বালিকা তাকে প্রেমের অফার দেয়। কিন্তু Narcissus তা প্রত্যাখ্যান করে।
পরে Echo পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যায়। অনেক দিন পর, Narcissus পানি খাবার উদ্দেশ্যে একটা পুকুরের কাছে যায়। সেখানে পানিতে নিজের চেহারা দেখে সে অভিভুত হয়ে পড়ে এবং প্রেমে পড়ে যায়।
যাই হোক, এগুলো হয়ত রুপকথা। কিন্তু রোগটা আসলেই আছে।
আর কাদের হবার সম্ভাবনা বেশী? আগেই বলেছি, সুন্দরীদের! কারন মেয়েদের প্রবণতাটাই এমন, নিজেকে নিয়ে অনেক ভাবা, চিন্তা করা, নিজেকে খেয়াল রাখা। তাই বলে সুন্দর পুরুষদের হতে পারে না ব্যাপার টা কিন্তু তা নয়।
রোগীর কিছু বৈশিষ্ট্যঃ এরা খুবই আত্মপরায়ন হয়, শুধু নিজের কথাই আগে চিন্তা করে, খুব হিংসুটে হয়, উদ্ধত হয়, অনেক আকাশকুসুম কল্পনা করে সবসময়, অপরাধবোধ থাকেই না, অযথাই মিথ্যা বলে থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি।
একটু চিন্তা করে দেখুন তো স্বভাবগুলো একটুখানি মেয়েলিটাইপের না? এই যদি হয়, তাহলে তারা তো আমাদের নিয়ে আর ভাববেই না। আমরা তাহলে যাব কই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।