প্রতিবেদনটি যারা পড়েছেন তারা বুঝবেন যে এখনকার সমাজটা তাহলে পুরুষ তান্ত্রিক নাকি
"নারী ক্ষমতার সমাজ ব্যবস্থা" প্রতিবেদনের প্রথমে যে, ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ একজন (মমতাজ বেগম) পঞ্চাশোর্ধ মহিলা ও তার মেয়ে মামলা করেছে শিহাব আলম ও সোহেল আলম দুটি পুরুষের নামে। অভিযোগে তিনি (মমতাজ বেগম) বলেন তার স্বামী চাকুরী সুত্রে বাহিরে থাকায় আসামীদ্বয় বিকেল বেলা তাদের বাসায় প্রবেশ করে। কিছু বোঝার আগেই আসামী শিহাব আলম তাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে এবং তার মেয়ে জুলিকে পাশের ঘরে সোহেল আলম ধর্ষণ করে। মমতাজ বেগমের দেয়া উক্তি থেকে আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, ধর্ষণ জিনিসটা খুবই সহজ বা অবুঝ শিশুর হাতের মোয়ার মত জানিনা আপনাদের কাছে কি মনে হচ্ছে। যাই হোক ঘটনার শেষে বিজ্ঞ বিচারকে রায় ও মমতাজ বেগমের জবাববন্দি থেকে এই জানা যায় যে, আসলে শিহাব আলম এবং সোহেল আলম মমতাজ বেগমের ভাসুর/তার স্বামীর আপন ভাই একটি জমিতে একটি জামগাছ আছে সেই গাছে জাম পাড়তে গিয়েছিল মমতাজ বেগমরে মেয়ে জুলি।
তার চাচা তাকে জামপাড়তে দেয়নি কারণ বড় মেয়ে গাছ থেকে পড়ে গেলে হাত ভাঙ্গলে পরে সমস্যা হবে মনে করে তাকে নিষেধ করে। এই ঘটনার সুত্র থেকে মমতাজ বেগম সিদ্ধান্ত নেয় স্বামীর জমি ভাগাভাগি করে আলাদা করে নেবে। তাই স্বামীকে না জানিয়ে তিনি এই মামলা করেন। আসলে তার ভাসুর তাকে ধর্ষণ বা তার দেবর তার মেয়েকে ধর্ষণ করেননি মমতাজ বেগম নিজে স্বীকার করে যে তিনি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে জয়ী হবার জন্য তিনি এমন কথা বলেন। আসলে তার ভাসুর ও দেবর খুব ভাল মানুষ।
এমন আরো কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে আজকের (২৪/০৪/২০১১) তারিখের প্রথম আলোতে। প্রিয় ব্লগার বুঝুন তো পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ নাকি নারী ক্ষমতা সমাজব্যবস্থার সমাজ। কি হবে পুরুষের ভবিষ্যৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।