যুক্তি মনের খোরাক
কি বলেছে বান্দর নাই, বান্দর আছে বাংলায়। আমগো বঙ্গ ইতিহাস হাতাইলে শ'য়ে শ'য়ে বান্দরের পরিচিত মুখ চোখের উপরে ভেসে উঠে। আমগো কবি নজরুল লিচুচুরি করতে গিয়া ব্যাপক বিদ্ধস্ত খাইবার কাহিনী আমরা কম বেশী সবাই জানি। কবিগুরুতো বেত নিয়া বিড়ালছানার মাস্টারবাবু সাজতেন।
আর গ্রামের ছাওয়াল এমন একটাও পাইবেন না, যেগুলান আমচুরি, ডাবচুরি, হাসচুরি, রসচুরি করেনাই।
কিছু ভাবুক চোর ছিল, যেগুলান আমের সিজনে গাছে উঠলে আর নামার কোন সম্ভাবনা দেখা যাইত না। সাথে থাকত বিশেষ কায়দায় "ঝিনুক ফুটা" আম ছিলা মেশিন । ভাবুক চোর গুলানরে মাঝ মাঝে মটরশুটি ক্ষেতের ভিতরে শুয়ে ডাল চুরি করতে দেখা যাইত।
গ্রামের বজ্জাত দ্যা গ্রেট নামে খ্যাত এই বান্দর গুলান নিশি রাইতে ভুত সেজে শয়তান মতবরের লুঙ্গি ভিজিয়ে দিতে একটু হিসাবও করত না। রাইতের বেলায় জিন সেজে গরিব বধু পাগলার জমিটও চাষ করে দিত এই বান্দরগুলাই।
আসলে বাঁদরামি কোন বিশেষণ না, এটা একটা বিশেষ জাতের নাম। এখন পর্যন্ত বাদরামি নিয়ে হাজার হাজার মুভি, সিরিয়ালের খোঁজ পাওয়া যায়। চার্লি চ্যাপলিন , থ্রি স্টুজেস , মিস্টার বিন 'র বাঁদরামি তো শিল্পমানের গুরুত্ব পাইচে।
কিছুদিন আগে ফেইসবুকে নতুন জাতের বাঁদরামির ভিডিও পাইলাম। এই বান্দর গুলান আবার ক্রিয়েটিভ বান্দর।
পাকা দেয়ালের ভিতর থাকলেও বাঁদরামির টেষ্ট কিন্তু অর্জিনাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।