১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এর আগে সকালে হাটের ইজারার টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন বিকাল ৫টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে পৌর এলাকায়। কিন্তু তা উপেক্ষা করে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা একে অন্যের ওপর হামলা চালায়।
শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম গ্রুপের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান খান ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ রেজা মুন্নুর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হচ্ছেন শৈলকুপা কাজীপাড়ার ইসাহাক মন্ডলের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সোমবার হাটফাজিলপুর হাটের ইজারার টেন্ডার দাখিলের দিন নির্ধারিত ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদে আওয়ামী লীগের এক গ্রুপ টেন্ডার দাখিলের সময় অন্য গ্রুপ তা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
তাদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে এএসআই জাকির হোসেন আহত হন। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথম দফা সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় প্রশাসন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে।
সকালে সংঘর্ষের জের ধরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিকাল ৬টায় উভয়পক্ষ ঢাল, সড়কি, রামদা, লাঠি-সোঁটা নিয়ে আবারো সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সারা শৈলকুপা শহরে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হামলা চালানো হয় পৌরসভা ভবনে। এ সময় মনোহরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর বাড়িতে হামলা ও কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়। শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
সারা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়। উল্টো পুলিশের সামনেই অস্ত্র উঁচিয়ে উভয়পক্ষ মিছিল করতে থাকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশ নিয়ে শহরে বের হন। তার পেছনে মাইকে করে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণার কথা বলা হয় এবং দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।