মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ব্যর্থ হবে সব প্রচেষ্টা, বৃথা যাবে পরিশ্রমে ক্লান্ত দেহ। এই দিনটির কথা ভেবে মিটিমিটি আজ হাসছে যারা, একটি বার শুধু একটি বার যদি তারা ভেবে দেখতো গন জাগরন আসেনা প্রতিদিন। দশকের পর দশক গুনতে হয় অপেক্ষার প্রহর। কখনো বা পার হয়ে যায় শতাব্দী বুকে রক্ত ক্ষনন, কন্ঠে চিৎকার ............।
ব্যর্থতার গ্লানি ঢাকতে অস্থির চঞ্চল মন, খুঁজে ফিরে কত শত ঠুনকো অজুহাত আর খোঁড়া যুক্তির টাল-বাহানা। শিরউরে উঠি না জানি আবার কতটা দশক কেটে যায় ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসির গল্প শুনে শুনে।
প্রতিকুলতা, সীমাবদ্ধতা শব্দ দুটো স্বার্থক হয়ে মিশে আছে অস্তিত্বের সাথে। দলীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গন মানুষের চিৎকার হয়ে পৌছে যেতে পারি না শাসক শ্রেণীর কর্নে, দলীয় আনুগত্ব আজ বড় বেশী তীব্র হয়ে বসবাস করছে এক হিংস্র হায়নার প্রতিচ্ছবি। রক্ত ঝরানোর নেশা হয়ে গেছে উল্লাসে ফেটে পড়ার রিতি-নীতি।
সদ্য বাবা হবার তীব্র অনুভূতি এখন আর নাড়া দেয় না, বরঞ্চ সেখানে ভর করে নেয় আজ আতংক। কতটা নর ঘাতক হলে থেতলে যাওয়া লাশ নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়া যায়, কেউ কি বলতে পারো? আজ আমি ততটাই হিংস্র। চাওয়াটা কি এমন ছিলো?
শুরুটা হয়েছিল অহিংস আন্দোলন দিয়ে ৪২ বছরের জমে থাকা পুঞ্চিভূত ক্ষোভ আর প্রানের দাবী গুলো অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করে জয়ের মালা পরে ঘরে ফেরার। তবে কেন মাঝে প্রশ্ন উঠল? তৈরী হলো বিতর্ক? একটিবারের জন্যও কি ভেবে দেখেছি? নাকি ইচ্ছে করেই চোখ বন্ধ করে ছিলাম? যেহেতু ছাত্র হিসেবে খুবই দুর্বল এক সাবজেক্টের ভিতরে অন্য সাবজেক্টের নিয়ে নাড়া-চাড়া করলে ফেল করবো তবে কেন বারবার যে সাবজেক্টের পরিক্ষা দিচ্ছি সেখান থেকে এদিক সেদিক তাকিয়ে পরিক্ষায় ফেল মার্ক নিলাম।
ভাঙ্গ শহীদ মিনার, ধরা পড়ে হয়ে গেল পাগল, ভাঙ্গ মন্দির, পুড়লো কতশত ঘর-বাড়ি,দোকান-পাট।
দেখলাম শুধু পোড়া ছাইয়ের আর ভাঙ্গা মন্দিরের ছবি, শুধু দেখলাম না কারা এই অপকর্ম গুলো করে ফিরে গেল সুস্থ,সুস্থির ভাবে। এত এত চ্যানেল,পত্রিকা থাকতে কেন পেলাম না তাদের ছবি? নাকি পোড়া ছাইয়ের ছবি গুলো ক্যামেরায় বেশী সুন্দর আস? কি জবাব দিব পরে প্রজন্মের কাছে? খোলা আকাশের নিচে পুড়ে যাওয়া কোন একটি পরিবারের ছোট্ট শিশুর মুখ কি কখনো ভেসে উঠবে মনের পর্দায়?
ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে মত্ত রাজনৈতিক দল গুলোর দাবার গুটি হয়ে আর কত কাল ঝরবে আমার রক্ত? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।