অচেনা মানুষ
প্রিয় বন্ধু,
চিঠির ছলেই না হয় গদ্যে পদ্যের শুরু হোক, তাতে কি?
দুরে অনেক দুরে তুমি ,
তবু ভুলেও তোমাকে যায় না ভোলা।
সেই চির পরিচিত------
জোড়া চোখ, চোখের জল,
জলে খেলা, খেলায় হাসি,
হাসির মূহুর্ত আর মূহুর্তের তুমি।
জান-
আজ মনে হচ্ছে তুমি ক্ষনকালের
একই সাথে চিরদিনের।
এসেছিলে ইষাণ কোনের মেঘে দমকা হাওয়ার বৈশাখি দিনে,
তারপর একেবারে নির্মেঘ শরতে
তখন ধুলো ওড়ে দমকা হাওয়ার মেঠো পথে,
শেষবার যখন দেখা হল তখন বসন্ত ও ভেজা ঠোঁট।
মাঝে মাঝে এত কান্না পায়, তোমার উপর খুব রাগ হয়,
তখন ভাবি তুমি বসন্তের কোকিল।
কিন্তু তোমার রক্তাক্ত শার্ট যা আমাকে দেওয়া তোমার শেষ উপহার, আমাকে ঘুরেফিরে নিয়ে যায় বর্ষার মেঘে,শরৎ এর নীলে, ধুলো ওড়া খটখট মেঠো পথে, চাঁদের রাতে তারার ভিড়ে আর বসন্তের সবুজে। শুধু তুমি চির ফাঁকিবাজ আমার হৃদয় মানব।
দুরে অনেক দুরে তুমি ,
তবু-----
এক'ই আকাশের নিচে,
এইতো সান্তনা।
মরচে পড়া স্মৃতি শব্দ করে হাসছে,
আমরা মিশে আছি কাব্যের উঠোনে,
হেটে চলছি নিসর্গের হয়ে,
অসহনীয় বিয়োগ ব্যথায় অবশ্যম্ভাবি যবনিকার সৃষ্টি।
দুজন দুকূলে - তবু একই নদীর,
এইতো সান্ত্বনা।
কারও ভাঙা কারও গড়া,
যৌবনের বেলা চলে যায়-
ভাঁজ পড়ে দেহে, মনে,
শুধু রয়ে গেছ-------
মূহুর্তের তুমি, যৌবনের তুমি, জীবনের তুমি। ।
ইতি ---
যৌবনের বন্ধু
খুলনা
০৭/০৩/২০০৭ ইং
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।