আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজ্ঞান: প্রাণের উৎস মহাশূন্য থেকে

তৃতীয় বিশ্বের নেতা হওয়ার জন্যে দুটি জিনিশ দরকার : বন্দুক ও কবর।

সকল শক্তির উৎস সূর্য। মহাকাশে ১০১১ টি নক্ষত্র আছে, সূর্য তাদের একটি। সূর্য ছাড়া উদ্ভিদ জগতের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া অচল। আর মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল।

উদ্ভিদ তাদের খাদ্য তৈরির পর উপজাত হিসেবে অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং এ অক্সিজেন আমরা গ্রহণ করে খাদ্যকে দহন করে দেহে শক্তি যোগায়। মানুষ ও অক্সিজেন পরীক্ষাগারেও তৈরি করতে পারে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই প্রাণীকুল অক্সিজেনের জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। তাই এ কথা অনস্বীকার্য যে, উদ্ভিদ ও প্রাণী তাদের খাদ্য তৈরির জন্য প্রকৃতিজাত কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ফসফরাসের ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতিই এ মৌলগুলি পর্যাপ্ত ও নির্দিষ্ট অনুপাতে সরবরাহ করছে।

আবার মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্য একটি উপাদান হলো বস্ত্র, যা ৯০% উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত। আশ্রয়ের ক্ষেত্রেও আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের নির্ভরশীল। কাঠ থেকে আসবাবপত্র, মাটি ও খনিজ দ্রব্য থেকে গৃহ নির্মাণসামগ্রী। ধান, গম প্রভৃতি উদ্ভিদ থেকে আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত, রুটি, বিস্কুট, পাউরুটি ইত্যাদি পেয়ে থাকি। আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, কুল প্রভৃতি ফল হিসেবে খেয়ে থাকি।

তুলা এবং পাট থেকে কাপড় উৎপাদন করা হয়। শাল, গর্জন, কড়ই, সেগুন থেকে গৃহ নির্মাণসামগ্রী ও আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। নিম, বাসক, আমলকী, হরিতকী, বহেরা ইত্যাদি থেকে ঔষধ তৈরি করা হয়। ফুলের জন্য জবা, গোলাপ, গন্ধরাজ, গাঁদা, ডালিয়া প্রভৃতি গাছ লাগানো হয়। গেওয়া কাঠ, বাঁশ, সবুজ পাট থেকে কাগজ উৎপাদন করা হয়।

তাই বলা যায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা অর্থাৎ সভ্যতার বিকাশ ঘটছে উদ্ভিদকে কেন্দ্র করে। যার প্রধান উৎস আমাদের প্রকৃতি। খাদ্য উৎপাদনের ভিতর আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ উপাদানটির একটিমাত্র অণু সৃষ্টি করার জন্য যে পরিমাণ পদার্থের নাড়াচাড়ার প্রয়োজন রয়েছে তার পরিমাণ সমগ্র মহাবিশ্বের পদার্থের পরিমাণের চাইতে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। তারপর একমাত্র এই পৃথিবীতে অনুরূপ একটি অণু সৃষ্টি হতে বহু বহু প্রায় সীমাহীন লক্ষ-কোটি (১০২৪৩ ) বছরের প্রয়োজন হবে।

মনে রাখতে হবে শুধু একটি আমিষ অণু সৃষ্টির জন্য এ সময়ের প্রয়োজন হবে। এরপরও কথা থেকে যায়-বৈজ্ঞানিকগণ প্রমাণ করেছেন যে, রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে আমিষ উপাদানগুলো প্রাণহীণ। কেবল যখনই অদৃশ্য জগৎ থেকে রহস্যজনকভাবে প্রাণ এই উপাদানের মধ্যে প্রবিষ্ট হয় তখনই তথা জীবিত হয় এবং প্রাণের আধার হিসেবে কর্মতৎপর হয়। আবার, খাদ্য লবণের ক্ষুদ্র একটি কণায় সোডিয়াম ও ক্লোরিন এটমের সংখ্যা ১০১৬ টি। অপরদিকে বিজ্ঞানের অবদানে 'ব্রেইন' বিশেষজ্ঞগণ জানিয়েছেন মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা তার নিউরন সংখ্যা ওপর নির্ভরশীল।

মানুষের আদর্শ মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা ১০১১। তবে এই নিউরনের সাথে সংশিস্নষ্ট রয়েছে ১০০০টি ডেনড্রাইটস, যা কার্যক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা নিউরনের সংখ্যার হাজার গুণ বর্ধিত করে দেয়। সর্বসাকুল্যে একজন বুদ্ধিজীবীর মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা দাঁড়ায় ১০১৪ টি, যা একটি লবণ কণার মধ্যস্থিত এটম সংখ্যার একশত ভাগের একভাগ। জ্যোতিবিজ্ঞানীগণ বলেছেন, ধুমকেতুর বরফই জীবনের রাসায়নিক উপাদান। প্রাচীনকালে পৃথিবীতে প্রচুর ধুমকেতু পতিত হতো।

আর এ থেকে অবশেষে পৃথিবীতে শুরু হয়, জৈব পরিমণ্ডলের পালা। তাই প্রকৃত প্রাণ মহাশূন্য থেকে আসছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.